মাইকেল কোহেনের কোনও দু্ষ্কর্মেরই দায় নিতে রাজি নন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্পের এক সময়ের আইনজীবী কোহেন বলেছিলেন, ‘‘ট্রাম্পের জন্য আমি গুলি খেতেও রাজি।’’ ট্রাম্পের জন্য ‘নোংরা কাজ’ এবং সেই সংক্রান্ত লেনদেনে জড়িত থাকার কথা কবুল করার পরে আপাতত তাঁর ঠিকানা জেল। তিন বছরের জন্য। আর হোয়াইট হাউসের কর্তাটি বলছেন, ‘‘কোহেনের অপরাধের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আমি তাঁকে কখনও আইন ভাঙতে বলিনি।’’ নিজেকে কলঙ্কমুক্ত রাখতে পরপর বেশ কিছু টুইট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর দাবি, ‘‘কোহেন এমন কতগুলি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, যেগুলির সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই।’’ আর একটি টুইটে ট্রাম্প লিখছেন, ‘‘কোহেন চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্টকে বিড়ম্বনায় ফেলে নিজের কারাবাসের মেয়াদ যথা সম্ভব কমিয়ে আনতে।’’
কোহেনের পাল্টা তোপ, ‘‘আমি মনে করি না, কেউ এটা বিশ্বাস করবেন। ট্রাম্পের নির্দেশ ছাড়া তাঁর সংস্থায় কিছুই হয় না। তিনিই আমাকে
অর্থ দিতে বলেছেন। বিষয়টিতে আমাকে
জড়িয়েছেন তিনি। সত্যটা তিনি জানেন।
সত্যটা আমি জানি। এবং অন্যেরাও জানে। আমেরিকাবাসী, এই লোকটির কথা বিশ্বাস করবেন না। এই লোকটি সত্য বলে না। যদিও আমার নোংরা কাজের দায় আমাকেই নিতে হবে।’’
নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের কথা চাপা দিতে পর্ন-তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে অর্থ (হাশ মানি) দিয়েছিলেন কোহেন। অভিযোগ, একই উদ্দেশ্যে অর্থ দেওয়া হয়েছে আর এক মহিলাকেও। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় সুবিধে করে উঠতে পারেননি স্টর্মি। তবে তথ্য প্রকাশ না করার চুক্তি (এনডিএ তথা নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট) সংক্রান্ত মামলা এখনও চলছে। ২০১৬-র নির্বাচনে রাশিয়ার নাক গলানো নিয়ে রবার্ট মুলারের তদন্ত তো গোড়া থেকেই ঝুলে আছে খাঁড়ার মতো। ট্রাম্পের বিপদ ঘনাচ্ছে নিত্য নতুন অভিযোগে। একটি সংবাদমাধ্যম যেমন কাল দাবি করেছে, ‘‘স্টর্মিকে ‘হাশ মানি’ দেওয়ার চুক্তি যখন পাকা হয়, ট্রাম্প তখন সেই ঘরেই ছিলেন।’’ ফলে কোহেনের পাপের দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করলেও, ট্রাম্পের পক্ষে কাজটা ক্রমেই শক্ত হয়ে উঠছে।
ডেমোক্র্যাটদের অনেকে প্রেসিডেন্টকে ‘ইমপিচ’ করার কথা বলছেন। এটা কি সম্ভব? এই প্রশ্ন করা হলে জবাব আসছে, কেন নয়! ট্রাম্প ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারিকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন! ওয়াটারগেট জমানার ও হালফিলের নামীদামি আইনজীবীদের একাংশও মানছেন তা।
হোয়াইট হাউসে থাকতে থাকতেই কি ইমপিচমেন্টের মুখে পড়বেন ট্রাম্প— আমেরিকায় এটাই এখন
‘হট টপিক’। প্রেসিডেন্ট পদে তাঁর মেয়াদ আর এক বছর। তার পরেও তা
ঘটতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে ইমপিচমেন্টের আশঙ্কায় চিন্তিত ট্রাম্প। ঘনিষ্ঠ মহলে সে কথা কবুলও করেছেন তিনি। তবে দেশ ও দুনিয়ার সামনে সাহসী ও লড়াকু মুখটিই তুলে ধরছে। চিনের সঙ্গে বাণিজ্য সংঘাতের প্রশ্নে শোনাচ্ছেন নিজের স্বপ্ন বা বিশ্বাসের কথা, ‘‘আমি দেখতে পাচ্ছি শিরোনাম, ‘চিন গোটা দেশ খুলে দিয়েছে আমেরিকার জন্য।’
সময় বলবে, কোন শিরোনাম অপেক্ষা করছে ট্রাম্পের জন্য।
সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy