মেগান মার্কল।
বাবা-মায়ের বিয়ে ভেঙে গিয়েছিল সেই ছোটবেলায়। এক সঙ্গে দু’জনকে পাননি বহু কাল। এ বার তাঁর বিয়ে উপলক্ষে মা-বাবা দু’জনেই উড়ে আসছেন লন্ডনে। সংবাদমাধ্যমের কাছে এই খুশির খবর জানিয়েছেন মেগান মার্কল।
বিয়ের কয়েক দিন আগেই লন্ডনে পৌঁছে যাবেন ডোরিয়া রাগল্যান্ড ও টমাস মার্কল। মেয়ের হবু শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে নেওয়াই উদ্দেশ্য। সেই জমায়েতে উপস্থিত থাকবেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথও, জানান হ্যারির মুখপাত্র জেসন নফ।
বিয়ের আগের রাতে অবশ্য মেগান আর রাজপরিবারের সঙ্গে থাকবেন না। লন্ডনের কোনও এক বিলাসবহুল হোটেলে সুইট বুক করা হয়েছে। তবে হোটেলের নাম গোপন রাখা হয়েছে। মায়ের সঙ্গে সেই হোটেলে রাত কাটাবেন মেগান। এর পর ১৯ মে, বিয়ের দিন সকালে গাড়ি এসে মেগান ও তাঁর মাকে উইনসর কাসলে নিয়ে যাবে। সেখান থেকে বাবার হাত ধরে সেন্ট জর্জ’স চ্যাপেলে যাবেন মেগান। নফ বলেন, ‘‘বাবা-মাকে পাশে পেয়ে খুব খুশি মেগান।’’ তাঁর বন্ধুরাও হাজির থাকছেন রাজবাড়ির বিয়েতে। তবে বিয়েতে কাউকে ‘মেড অব অনার’ করবেন না মেগান। কারণ, সবাইকে তো করা সম্ভব নয়। আর কোনও বন্ধুকে দুঃখ দিতে চান না মেগান।
মা নেই, কিন্তু মায়ের পরিবারকে পাশে চান হ্যারিও। যুবরানি ডায়ানার তিন ভাইবোনই তাই হাজির থাকবেন হ্যারির বিয়েতে। দাদার বিয়েতে ‘বেস্ট ম্যান’ হয়েছিলেন হ্যারি। এ বারে তাই তাঁর বিয়েতে দাদা উইলিয়ামই ‘বেস্ট ম্যান’ হবেন।
নফ জানাচ্ছেন, বিয়ের দিন সকাল থেকেই সাজো সাজো রব পড়ে যাবে উইনসরে। ভিড় হবে ভালই। ১২০০ সাধারণ মানুষকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন হ্যারি ও মেগান। আশা করা যায়, সকাল ৯টা থেকেই আসতে শুরু করবেন তাঁরা। আসল অতিথিরা আসা শুরু করবেন আর একটু পরে, সাড়ে ৯টা থেকে। রাজপরিবারের সবার আসতে আসতে সাড়ে ১১টা। ভাইকে নিয়ে উইলিয়াম পায়ে হেঁটেই চ্যাপেলে ঢুকবেন। সবাই একে একে আসতে শুরু করলে হোটেল থেকে উইনসর কাসেলের উদ্দেশে মাকে নিয়ে রওনা হবেন মেগান। সেখান থেকে চ্যাপেলে যাবেন তিনি।
রাজবাড়ির বিয়ে নিয়ে এমনই সব জল্পনা চলছে। তবে সবটা চাক্ষুষ করতে আরও দু’সপ্তাহের অপেক্ষা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy