এই সেই প্যারিস হামলার মূল চক্রী।
প্যারিসে হামলার ঘটনার ‘মূল চক্রী’ আদতে বেলজিয়ামের নাগরিক। তার নাম- আবদেল হামিদ আবাউদ। সম্ভাব্য ‘চক্রী’দের ছবি দেখে বেলজিয়ামের ওই নাগরিককে শনাক্ত করেছেন ফরাসি সরকারের এক পদস্থ কর্তা। তবে এখনও তার খোঁজ মেলেনি।
ফরাসি পুলিশের চিফ প্রসিকিউটর ফ্রাঁসোয়া মলিন্স জানিয়েছেন, আরও দুই জঙ্গিকে শনাক্ত করা গিয়েছে। তাদের এক জন সিরিয়ার নাগরিক। অন্য জন ফরাসি। ওই ফরাসি জঙ্গিটির বিরুদ্ধে এর আগেও সন্ত্রাসের মামলা দায়ের হয়েছিল। আর প্যারিসের উত্তর প্রান্তের মফস্বল শহর স্তদ দ্য ফ্রঁন্সের যে স্টেডিয়ামে জার্মানি ও ফ্রান্সের ফুটবল ম্যাচ হচ্ছিল, তার বাইরেও পরপর তিনটি বিস্ফোরণ হয়েছিল। সেই বিস্ফোরণে যে আত্মঘাতী জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল, তাকেও শনাক্ত করা গিয়েছে। তার নাম- আহমেদ আল-মহম্মদ। সে-ও এক জন সিরীয় বলে মনে করা হচ্ছে। ওই জঙ্গি প্যারিসে এসেছিল সিরিয়ার ইদলিব থেকে। তার মৃতদেহের পাশে পড়ে থাকা যে সিরীয় পাসপোর্টটি পাওয়া গিয়েছে, সেটি জাল কি না, তা খতিয়ে দেখা যাচ্ছে। ওই জঙ্গি প্যারিসে আসার আগে ছিল গ্রিসে। সেখানেও তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ। গ্রিস পুলিশের রেকর্ডে রয়েছে তার ফিঙ্গার প্রিন্ট। সেই ফিঙ্গার প্রিন্টের সঙ্গে স্তদ দ্য ফ্রঁন্সের স্টেডিয়ামের বাইরে পড়ে থাকা আত্মঘাতী জঙ্গির আঙুলের ছাপ মিলে গিয়েছে।
ফরাসি পুলিশ জানিয়েছে, আরও যে এক জঙ্গিকে শনাক্ত করা গিয়েছে, তার নাম- স্যামি আমিমুর। তার বয়স ২৮ বছর। সে ফরাসি নাগরিক। তার বাড়ি প্যারিসের অদূরে, দ্রান্সি মফস্বল এলাকায়। বাতাক্লাঁ মিউজিক হলে যারা হামলা চালাতে ঢুকেছিল, ওই জঙ্গি তাদের অন্যতম। ২০১২ সালে ইয়েমেনে সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষেছিল আমিমুর। তবে শেষ পর্যন্ত সেই হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল বলে ২০১৩ সালে আমিমুরের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। ওই সময় আমিমুর সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিল বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। আমিমুরের পরিবারের তিন সদস্যকে সোমবার পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy