(বাঁ দিক থেকে) মারিন ল্য পেন এবং ইমানুয়েল মাকরঁ। — ফাইল চিত্র।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম বার ফ্রান্সে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতা দখল করার সম্ভাবনা উগ্র দক্ষিণপন্থীদের। প্রথম দফার ভোটে কট্টরপন্থী নেত্রী মারিন ল্য পেনের ন্যাশনাল র্যালি সংখ্যাগরিষ্ঠতার দৌড়ে এগিয়ে গিয়েছে। ধরাশায়ী হয়েছে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁর নেতৃত্বাধীন মধ্যপন্থী জোট। তারা রয়েছে তৃতীয় স্থানে। দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামপন্থী দলগুলোর জোট ‘নিউ পপুলার ফ্রন্ট’।
রবিবার ফ্রান্সের জাতীয় নির্বাচনের প্রথম দফায় মূল ভূখণ্ডে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। তার ফল বলছে, ৩৩ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে ন্যাশনাল র্যালি প্রথম স্থানে গিয়েছে। কট্টর অভিবাসন বিরোধী নীতিকে সামনে রেখে ভোটে লড়েছিল তারা। বামপন্থী দলগুলির জোট পেয়েছে ২৮ শতাংশ ভোট। অন্য দিকে, প্রেসিডেন্ট মাকরঁ এবং বর্তমান ফরাসি প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটালের নেতৃত্বে এনসেম্বল জোট ২১ শতাংশ ভোট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ রয়েছে ৭ জুলাই। তার পরেই ফয়সালা হয়ে যাবে, ৫৭৭ আসনে ফরাসি পার্লামেন্টে অতি দক্ষিণপন্থী মারিনের দল শেষ হাসি হাসবে কি না। কারণ, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য অন্তত ২৮৯ আসনে জয়ী হতে হবে তাদের। ন্যাশনাল র্যালি অবশ্য এই নির্বাচনে তাদের ‘প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ হিসাবে জর্ডান বার্ডেলাকে তুলে ধরেছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গোড়াতেই বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় উগ্র দক্ষিণপন্থীদের উত্থানের ইঙ্গিত মিলেছিল। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট মাকরঁ পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে দেশকে তড়িঘড়ি জাতীয় নির্বাচনের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে ফল পেলেন না তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy