গাজ়ার হাসপাতালে হানায় চিকিৎসা চলছে আহতদের। ছবি: রয়টার্স।
গাজ়ার হাসপাতালে আকাশপথে হামলা চালাল ইজ়রায়েল। এই হামলায় অন্তত ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইজ়রায়েল সফরের ঠিক আগের দিন এই হামলা হয়েছে। মঙ্গলবার গাজ়ার আল-আহলি আরব হাসপাতালে হামলা চালায় ইজ়রায়েল। ওই হাসপাতালটি হামাস দ্বারা পরিচালিত। সেখানে যুদ্ধে আহতদের চিকিৎসা চলছিল। গাজ়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রায় ৫০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন এই হামলায়।
গত ১০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে আহত এবং ঘরছাড়া মানুষদের অনেকেই ওই হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন এখনও অনেকে। ইজ়রায়েলের এই হামলা ‘যুদ্ধপরাধ’ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছে গাজ়া। এই হামলা প্রসঙ্গে ইজ়রায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি সাংবাদিকদের বলেন, “বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিচ্ছি আমরা। কিছু ক্ষণ আগেই হামলাটি হয়েছে।”
গত ১০ দিন ধরে চলছে ইজ়রায়েল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধ। এই যুদ্ধে দুই দেশ মিলিয়ে ইতিমধ্যেই ৪০০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। রোজই বাড়ছে সেই সংখ্যা। উত্তর ও মধ্য গাজ়ার বাসিন্দাদের ঘর ছাড়ার জন্য ‘চরম সময়সীমা’ শেষ হলেও এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে স্থলপথে ইজ়রায়েলি সেনার গাজ়া অভিযান শুরু হয়নি। তবে মঙ্গলবারও দফায় দফায় বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে গাজ়ায়। মঙ্গলবারই রাষ্ট্রপুঞ্জ দ্বারা পরিচালিত স্কুলেও হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। স্কুলটিতে যুদ্ধে ঘরছাড়া মানুষেরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেই হানায় ছ’জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
গাজ়ার উপর বিধিনিষেধ ইতিমধ্যেই আরও কঠোর করেছে ইজ়রায়েল। ৩৬৫ বর্গকিলোমিটারের ওই ভূখণ্ডের ২৩ লক্ষ প্যালেস্তিনীয় বাসিন্দার জল, খাবার, বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছিল আগেই। সেখানে আন্তর্জাতিক ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর উপরেও বিধিনিষেধ জারি করল ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজ়রায়েলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন। বুধবার তাঁর ইজ়রায়েলের মাটিতে পা রাখার কথা। যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই মুহূর্তে ইজ়রায়েলের তেল আভিভ শহরে আছেন। সেখান থেকেই এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy