Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

ব্রেন্টনকে আটকানো পাক নায়কের মৃ্ত্যু

কটি অসমসাহসী মানুষ আততায়ীকে জাপটে ধরে আটকানোর চেষ্টা করছেন। তিনি না আটকালে নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়ত।

নইম রশিদ। —ফাইল চিত্র।

নইম রশিদ। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৯ ০৫:০৫
Share: Save:

ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে যখন এলোপাথাড়ি গুলি চালাচ্ছে ব্রেন্টন ট্যারান্ট, প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকে দেখেছিলেন, একটি অসমসাহসী মানুষ আততায়ীকে জাপটে ধরে আটকানোর চেষ্টা করছেন। তিনি না আটকালে নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়ত।

শনিবার জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির পরিচয়। তিনি পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদ থেকে আসা নইম রশিদ। রাতে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। গত কালই নইমের ছেলে তালহা রশিদ প্রাণ হারিয়েছিলেন। বাকি অনেকের জীবন বাঁচিয়ে চলে গেলেন নইমও। নিউজ়িল্যান্ডবাসীরা তো বটেই, গোটা পৃথিবীর চোখেই তিনি এখন মানবতার নায়ক। শনিবার দিনভর তাঁর কথা টুইটারে এক নম্বরে।

গত কালই অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফয়জল সৈয়দ জানিয়েছিলেন, কী ভাবে মসজিদে গুলিবৃষ্টির মধ্যেই ‘জনৈক ব্যক্তি’ ছুটে এসে আততায়ীকে জাপটে ধরেন। বন্দুক না নামানো অবধি চেপে ধরে রাখেন। ফয়জল বলেছিলেন, তিনি যে বেঁচে গিয়েছেন তা ওই মানুষটির জন্যই। তাঁকে খুঁজে পেতে চান তিনি। সে আর হল না। ব্রেন্টনের গুলিতে মারাত্মক জখম হয়েছিলেন নইম। কাল গভীর রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

অ্যাবটাবাদে থাকাকালীন একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন নইম। পরে শিক্ষকতার চাকরি নিয়ে নিউজ়িল্যান্ডে চলে যান। নইম এবং তালহা-র মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমকে জানান নইমের দাদা খুরশিদ আলম। পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জল জানান, আরও ন’জন পাকিস্তানির খোঁজ মিলছে না।

আল নূর মসজিদের পরে কাছের লিনউড মসজিদেও হামলা চালায় ব্রেন্টন। সেখানেও এক ব্যক্তি প্রাণপণে তাকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে জানাচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দ মাজহারউদ্দিন। এখানে আততায়ীর হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিতে পেরেছিলেন এক জন। কিন্তু বন্দুক চালাতে জানতেন না তিনি। সেই ফাঁকে আততায়ী ছুটে গাড়িতে উঠে পড়ে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE