কোত্থাও কিছু নেই! মাঝখানে ছবির মতো সুন্দর একখানা গ্রঁপ্রি-র ট্র্যাক পাতা। বিরাট আয়োজন। কিন্তু ভারতের মতো ‘গরিব দেশে’ আদৌ এ সবের প্রয়োজন আছে কি না, প্রশ্ন তুলেছিলেন ফর্মুলা ওয়ান রেসিংয়ের পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তা নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েই কাল ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় নামতে হল লুইস হ্যামিল্টনকে। ব্রিটিশ তারকার তরফে খোঁচাটা এল আরও সরাসরি।
টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে হ্যামিল্টন লিখলেন, ‘‘আসলে ভারতে রেসিং করতে এসে আমার একটাই কথা মনে হয়েছিল। এই কোটি-কোটি টাকা ওরা যদি স্কুল বা বাড়ি তৈরির কাজে লাগাত, ছবিটা বদলে যেত। এত খরচ করে ট্র্যাক পাতা হচ্ছে, তাতে মানুষের আগ্রহই যদি না থাকে, কী লাভ! তবে কিছু অসামান্য ভারতীয় ভক্তের সঙ্গে সাক্ষাতের অভিজ্ঞতাটাও অপূর্ব।’’
কথা হচ্ছিল, ভিয়েতনামের মতো নতুন কোনও দেশে ফর্মুলা ওয়ান রেসিংয়ের ট্র্যাক পাতা নিয়ে। এ নিয়ে হ্যামিল্টন বলেছিলেন, ‘‘রেসিংয়ের ইতিহাসে ইংল্যান্ড, জার্মানির মতো দেশের একটা ঐতিহ্য আছে। সম্প্রতি আমেরিকাতেও ব্যাপক সা়ড়া মিলছে। কিন্তু এ সব দেশে তো বছরে মাত্র একটা ইভেন্ট। ক্ষমতা থাকলে, এ সব দেশেই আরও বেশি করে ইভেন্ট করাতাম।’’ এরই মাঝে ভারতকে ‘গরিব দেশ’ বলতে শোনা যায় তাঁকে।
বিতর্কের ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফর্মুলা ওয়ানের ভক্তরাই বলতে শুরু করেন, ‘‘অর্থনীতির সিঁড়ি বেয়ে যে দেশ এখন বিশ্বে ষষ্ঠ স্থানে, সেই ভারতকে কটাক্ষ করার সাহস হয় কী করে!’’ কাল যদিও হ্যামিল্টনের পাশে থেকেই বিবৃতি দিয়েছে তাঁর গাড়ি সংস্থা মার্সেডিজের এক কর্তা। তাঁর দাবি, হ্যামিল্টন অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়েই বলেছিলেন। ভারতের সমালোচনা করাটা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না। ২০১১ থেকে টানা তিন বছর নয়াদিল্লির বুদ্ধ ইন্টারন্যাশনাল সার্কিটে গ্রঁপ্রি-র আয়োজন করা হয়েছিল। প্রথম বার রেসিং দেখতে প্রায় এক লাখের জমায়েত হয়েছিল। পরের বছর থেকে সংখ্যাটা কমতে থাকে। ২০১৪ থেকে আর ইভেন্ট হয়নি। কর সংক্রান্ত বিতর্ক এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় থমকে গিয়েছে রেসিং।
ব্রিটিশ চ্যাম্পিয়নের খোঁচা তবু লাগলই! মাস চারেক আগে এমনই বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন ইতালীয় চিত্রগ্রাহক অ্যালেসিয়ো মামো। ইনস্টাগ্রামে ঝড় তুলেছিল তাঁর ‘ড্রিমিং ফুড’ নামের একটি ছবির সিরিজ। মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের কিছু প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে টেবিলের উপর নকল খাবার সাজিয়ে, দরিদ্র শিশুদের ভাবতে বলেছিলেন কিছু লোভনীয় খাবারের কথা। দারিদ্র এবং অনাহার নিয়ে ভারতকে ‘খাটো’ করার অভিযোগ উঠেছিল মামোর বিরুদ্ধে। যদিও মামোর যুক্তি ছিল, তিনি খাবারের অপচয়ের বিরুদ্ধেই বার্তা দিতে চেয়েছিলেন। অর্থনীতির বৈষম্যটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে চেয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy