Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
International News

কসাবের থেকে দশ গুণ বেশি অপরাধী কূলভূষণ, প্রতিক্রিয়া মুশারফের

দু’দিন আগেই আন্তর্জাতিক আদালত কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের সেই রায়ে বেজায় চটেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনা প্রধান পারভেজ মুশারফ।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৭ ১৪:৪৮
Share: Save:

দু’দিন আগেই আন্তর্জাতিক আদালত কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের সেই রায়ে বেজায় চটেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনা প্রধান পারভেজ মুশারফ। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, “আজমল কসাবের থেকেও অনেক বড় অপরাধী কুলভূষণ যাদব।” কুলভূষণ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় নিয়ে পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাত্কার দেওয়ার সময় এ কথা জানান মুশারফ।

কুলভূষণ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতকে কোণঠাসা করার পরিবর্তে নিজেরাই ‘মুখ পুড়িয়ে’ এসেছে পাকিস্তান। কুলভূষণ নিয়ে ভারতের কাছে পরোক্ষে এক প্রকার ‘হার’ই হয়েছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। যে ভাবে আন্তর্জাতিক আদালতে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে, তাতে এখন এই বিষয় নিয়ে দেশের ভিতরেই বেশ চাপের মুখে পাকিস্তান।

আরও পড়ুন: কুলভূষণ মামলায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বে পাক সরকার, সেনা’

কুলভূষণ প্রসঙ্গে আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে মুশারফ তো সাক্ষাত্কারে বলেই ফেলেন মুম্বই হামলায় নিহত জঙ্গি আজমল কসাবের থেকেও দশ গুণ বেশি অপরাধ করেছেন কুলভূষণ। তাঁর মতে, কসাব ছিল ‘ছোটখাটো অপরাধী’। কিন্তু কুলভূষণ সন্ত্রাসবাদ কার্যকলাপ চালানোর জন্য এবং সন্ত্রাসবাদকে ছড়িয়ে দিতে প্রচুর লোককে ব্যবহার করেছিলেন। বলেন, “জানি না কত লোককে বোমা ও অন্তর্ঘাতের মাধ্যমে খুন করার চক্রান্ত করেছিলেন কুলভূষণ!”

যে ভাবে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক আদালত থেকে ‘মুখ পুড়িয়ে’ ফিরে আসতে হল তারও সমালোচনা করেছেন মুশারফ। তাঁর দাবি, পাকিস্তানের নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকা উচিত ছিল। এটা দেশের নিরাপত্তার বিষয়। দেশের নিরাপত্তার বিষয়ে পাকিস্তান কী সিদ্ধান্ত নেবে সেটা ঠিক করে দেওয়ার অধিকার কারও নেই। পাশাপাশি, তিনি এটাও জানান, কুলভূষণ মামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়াই উচিত হয়নি পাকিস্তানের।

আন্তর্জাতিক আদালতে হওয়া ১৯৮২-র একটি মামলার প্রসঙ্গ তোলেন মুশারফ। জানান, ওই মামলায় দুই জার্মানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আমেরিকা। আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা ওঠা সত্ত্বেও ওই দু’জনের ফাঁসি দিয়েছিল আমেরিকা। বলেন, “অনেকেই আছে যারা আন্তর্জাতিক আদালত, রাষ্ট্রপুঞ্জের মতো আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর কথা নিজেদের ইচ্ছা মতো শোনেন, আবার কেউ কেউ এই সংগঠনগুলির কথা অস্বীকারও করেন।” বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরাসরি না বললেও মুশারফ এ ধরনের উদাহরণ তুলে পরোক্ষে আমেরিকাকেই খোঁচা দিলেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE