বাবার কোলে জর্জ।—ফাইল চিত্র।
মায়ের মৃত্যুর স্মৃতি তাড়া করে বেড়ায় এখনও। শোনা যায়, ডায়ানার মৃত্যুর জন্য এখনও পাপারাৎজিকেই দায়ী করেন রাজকুমার উইলিয়াম। এরই মধ্যে রাজপরিবারের দুই খুদে সদস্যের পিছনে ছবি-শিকারিদের ধাওয়া করা নিয়ে রাতের ঘুম ছুটেছে উইলিয়ামের।
ব্যবস্থা নিতে তাই উইলিয়াম ও রাজবধূ কেট মিডলটনের হয়ে কেনসিংটন প্রাসাদের পক্ষ থেকে একটি খোলা চিঠি দেওয়া হয়েছে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে। রাজপরিবারের সম্মতি ছাড়া যে ভাবে ছোট্ট শার্লট ও তার দাদা জর্জের ছবি ছাপা হচ্ছে দেশ-বিদেশের পত্রিকায়, তার কড়া সমালোচনা করা হয়েছে ওই চিঠিতে।
রাজকুমারের অভিযোগ, পাপারাৎজির হানায় হারিয়ে যেতে বসেছে তাঁর সন্তানদের শৈশব। জর্জ আর শার্লট প্রাসাদের মধ্যে বন্দি অবস্থায় ছেলেবেলা কাটাক, মা-বাবা কেউই চান না সেটা। তাই আর পাঁচটা বাচ্চার মতোই পার্কে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। কিন্তু যতই নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকুক না কেন, ছবি শিকারিদের ঠেকায়, এমন সাধ্য কার!
কখনও বালির পাহাড়ের আড়ালে, কখনও বা গাড়ির ভিতরে লুকিয়ে থাকা পাপারাৎজির শক্তিশালী লেন্সে তাই সহজেই ধরা পড়ে যায় মা বা ন্যানির সঙ্গে ছোট্ট জর্জের খেলার মুহূর্ত। কখনও আবার জর্জকে খুঁজে বার করতে অন্য শিশুদেরও কাজে লাগান চিত্রগ্রাহকরা। কোথায় কোথায় জর্জকে তাড়া করে ফিরেছে পাপারাৎজি, এ দিন তারও একটা তালিকা দিয়েছে ব্রিটিশ রাজপরিবার।
নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও আমেরিকার কিছু কাগজ সেই সব ছবি প্রকাশ করে দেয় বলে দাবি কেনসিংটন প্রাসাদের। নিজেদের লাভ-ক্ষতির হিসেবে করতে গিয়ে যারা এ ভাবে ছোট ছোট শিশুর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে, তাদের সহজে ছেড়ে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে আজকের খোলা চিঠিতে।
তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে এখনও এতটা দোষ দিতে রাজি নয় রাজপরিবার। বরং তাদের দাবি, ব্রিটিশ মিডিয়া জর্জকে নিয়ে অনেকটাই সংবেদনশীল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy