Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Kamala Harris

ফের চমক কমলা হ্যারিসের, এ বার নিজের প্রেস সচিবও ভারতীয় বংশোদ্ভূত

নতুন দায়িত্ব পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত ৩২ বছরের সাব্রিনা। কমলার জেতার বিষয়েও রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী তিনি।

নতুন দায়িত্ব পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত ৩২ বছরের সাব্রিনা সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।

নতুন দায়িত্ব পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত ৩২ বছরের সাব্রিনা সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২০ ১৮:৫৮
Share: Save:

ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়ে নজির গড়েছিলেন নিজে। মার্কিন ইতিহাসে প্রথম বার কোনও এশীয়-আমেরিকান তথা অ-শ্বেতাঙ্গ মহিলা ওই পদের দৌড়ে। এ বার তাঁর প্রেস সচিব বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রেও নজির গড়ে চমক দিলেন ডেমোক্র্যাট সেনেটর কমলা হ্যারিস। ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাব্রিনা সিংহকেই বেছে নিলেন নিজের প্রেস সচিব হিসাবে। কমলার মতো এই প্রথম কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকার মনোনীত ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রেস সচিবের কাজকর্ম সামলাবেন।

সম্প্রতি ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে কমলার নাম ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট পদপ্রার্থী জো বাইডেন। এ বার কমলার নির্বাচনী প্রচারের কাজের সঙ্গেও সরাসরি জড়িত থাকবেন সাব্রিনা সিংহ। নতুন দায়িত্ব পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত ৩২ বছরের সাব্রিনা। নভেম্বরে আসন্ন নির্বাচনে কমলার জেতার বিষয়েও রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী তিনি। টুইটারে সাব্রিনা লিখেছেন, “কমলা হ্যারিসের প্রেস সচিব হিসাবে #বিডেনহ্যারিসের টিকিটে যোগ দিতে পেরে আমি খুব উচ্ছ্বসিত। নভেম্বরে জিতে কাজে যোগ দেওয়ার অপেক্ষা করতে পারছি না।”

আরও পড়ুন: কোভিডের থেকেও ১০ গুণ বেশি মারাত্মক করোনাভাইরাসের সন্ধান মালয়েশিয়ায়!

লস এঞ্জেলসের বাসিন্দা সাব্রিনার অবশ্য এর আগেও ডেমোক্র্যাটিক পদপ্রার্থীদের সঙ্গে হিসাবে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। নিজ জার্সি সেনেটর কোরি বুকার এবং নিউ ইয়র্কের প্রাক্তন মেয়র মাইক ব্লুমবার্গ প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে থাকাকালীন তাঁদের মুখপাত্র হিসাবে কাজ করেছেন সাব্রিনা। পাশাপাশি, ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির মুখপাত্রও ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: ‘ভুল’ করে রেভলনকে ৯০ কোটি ডলার ঋণ দিয়ে ফেলল সিটি ব্যাঙ্ক

রাজনৈতিক আঙিনায় কাজের অভিজ্ঞতা ছাড়াও সাব্রিনার রক্তেই যেন রয়েছে সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার ঐতিহ্য। গত শতকের চারের দশকে মার্কিন সরকারের বর্ণবৈষম্যমূলক নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন সাব্রিনার ঠাকুরদা সর্দার জে জে সিংহ। ‘ইন্ডিয়া লিগ অব আমেরিকা’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হয়ে সে সময় স্বল্পসংখ্যক ভারতীয়দের নিয়ে মার্কিন দেশ জুড়ে বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইন্দো-আমেরিকানদের স্বার্থরক্ষাই ছিল তাঁদের প্রধান লক্ষ্য। মূলত ওই আন্দোলনের জেরেই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান ১৯৪৬ সালে লুস-সেলার আইন পাশ করতে বাধ্য হন। যার জেরে মার্কিন মুলুকে অভিবাসী হয়ে যাওয়ার জন্য বছরে ১০০ জন ভারতীয়ের আসন সংরক্ষিত হয়েছিল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy