কোলবদলেও ঘুমিয়ে কাদা। পাশে ছোট্ট ট্রুডোর মা। ছবি: টুইটার
মুখোমুখি দুই জাস্টিন ট্রুডো! শুধু তা-ই নয়, বড় ট্রুডোর কোলে দিব্যি আরামে নাক ডাকিয়ে ঘুমোতে দেখা গেল ছোট্ট ‘জাস্টিন ট্রুডো’কে!
শনিবার ক্যালগ্যারি স্ট্যামপিড অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। প্রতি জুলাইয়ে অ্যালবার্টায় অনুষ্ঠিত হয় এই ক্যালগ্যারি স্ট্যামপিড। সেখানে নানা রকম প্রদর্শনী, প্যারেড, স্টেজ শো, কৃষিকাজ সংক্রান্ত প্রতিযোগিতা, কনসার্টের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে গিয়েই একটি সিরীয় শরণার্থী পরিবারের দু’বছরের জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল কানাডীয় প্রধানমন্ত্রীর।
এই সাক্ষাতে যারপরনাই খুশি দেখাচ্ছিল দু’জনকেই। নীল-কালো চেক শার্ট, মাথায় হ্যাট পরা প্রধানমন্ত্রীর কোলে সাদা-নীল চেক শার্ট পরা জাস্টিন ট্রুডো অ্যাডাম বিলান। ঘুমন্ত অবস্থাতেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর কোলে উঠেছিল ওই খুদে। তার ঠোঁটের কোণে তখন লেগে আলতো হাসি। কোলে চেপে অবশ্য ঘুমে একটুও ব্যাঘাত ঘটেনি তার। প্রধানমন্ত্রীর কোলেই নাক ডাকিয়ে দিব্যি আরামে ঘুমোচ্ছিল সে।
কিন্তু কে এই খুদে জাস্টিন ট্রুডো?
সিরিয়ার শরণার্থী দম্পতি মুহম্মদ ও আফরা বিলানের শিশুপুত্র এই জাস্টিন ট্রুডো। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে পালিয়ে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে কানাডায় আসে ওই পরিবারটি। অ্যালবার্টাতেই থাকতে শুরু করে তারা। কানাডায় আসার এক বছরের মাথায় তাঁদের কোলে আসে এই শিশুপুত্র। কিন্তু ছেলের নাম কী রাখবেন, ভেবে পাচ্ছিলেন না ওই দম্পতি। তখনই মাথায় আসে আশ্রয়দাতা দেশটাকে সম্মান জানানোর কথা। যেমন ভাবা, তেমন কাজ! অবশেষে দেশের প্রধানমন্ত্রীর নামেই নিজেদের শিশুপুত্রের নাম রাখার সিদ্ধান্ত নেন ওই সিরীয় দম্পতি। ছেলের নাম রাখেন জাস্টিন ট্রুডো অ্যাডাম বিলান।
ওই দম্পতির বক্তব্য, ‘‘যে দেশ তাঁদের মতো শরণার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে, সেই দেশটাকে সম্মান জানাতেই প্রধানমন্ত্রীর নামে নিজেদের সন্তানের নামকরণ করেছেন।’’
২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদে এসেছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। ওই বছরের নভেম্বর থেকে ২০১৬-এর জানুয়ারির মধ্যে অন্তত ৪০ হাজার শরণার্থী সিরিয়া থেকে কানাডায় এসেছিলেন। ২০১৫-এর নভেম্বরে ১৬৩ জন শরণার্থীকে বিমানবন্দরে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে স্বাগত জানিয়েছিলেন ট্রুডো।
ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে আসার পরেই সাত মুসলিম দেশের শরণার্থীদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিলেন। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রুডো জানিয়ে দিয়েছিলেন, যুদ্ধদীর্ণ দেশগুলি থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের সাহায্য করবে তাঁর সরকার। তাই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই সিরীয় দম্পতি।
শুধু বিলান দম্পতিই নয়, এমন নজির আরও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানাতে ওন্টারিওয় আশ্রয় নেওয়া আর এক সিরীয় দম্পতিও সন্তানের নাম রেখেছেন ‘জাস্টিন’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy