নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে কঠিন রোগের উপসর্গ। ছবি: সংগৃহীত।
রাতে সময় মতো ঘুমোতে যাচ্ছেন। কিন্তু চোখে নেই ঘুম। এলেও ঘুমের মধ্যে অস্বস্তি হচ্ছে। রাতে ঘুম নেই, আর দিনের বেলায় রয়ে যাচ্ছে ঘুম ঘুম ভাব, ক্লান্তি। এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নাক ডাকার সমস্যা। নাক ডাকার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। তবে অনেকেই তেমন গুরুত্ব দেন না। তবে অত্যধিক নাক ডাকার সমস্যা শুরু হলে কিন্তু সতর্ক হতে হবে। এটি হতে পারে স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ। চিকিৎসকদের মতে, ভারতে স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা দিন দিন বাড়ছে।
স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা কেন হয়?
ঘুমের মধ্যে শ্বাস নিতে না পারার সমস্যাই হল স্লিপ অ্যাপনিয়া। ওজন বেশি হলে ঘুমের সময়ে শ্বাসনালির উপর বেশি চাপ পড়ে ও শ্বাসপ্রক্রিয়া বাধা পায়। এতে মস্তিষ্ক ও শরীরের কোষগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ হঠাৎই অনেকটা কমে যায়। ফলে স্লিপ অ্যাপনিয়ার প্রভাবে আকস্মিক শ্বাসপ্রক্রিয়া ব্যাহত হয়ে মৃত্যু হতে পারে। মদ্যপান ও ধূমপানের মতো অভ্যাসের কারণেও এই অসুখের আশঙ্কা বাড়ায়। আবার অনেকেই ঘুম ভাল হচ্ছে না ভেবে ঘুমের ওষুধ খান। তাতে হিতে বিপরীত হয়। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের মতো রোগ থাকলেও এই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কী ভাবে বুঝবেন, আপনি স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত?
১) অতিরিক্ত নাক ডাকাই স্লিপ অ্যাপনিয়ার প্রধান উপসর্গ। হালকা নয়, এই রোগে আক্রান্ত হলে নাক ডাকার তীব্রতা প্রবল হয়।
২) ঘুম থেকে ওঠার পর গলা খুব বেশি শুকিয়ে আসে? এটিও কিন্তু স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ। এই রোগে আক্রান্ত হলে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। তাই মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হয়। ফলে গলা শুকিয়ে আসে। শ্বাসেও দুর্গন্ধও হয়।
৩) সারা ক্ষণ ক্লান্ত লাগা, ঘুম ঘুম ভাব, ঝিমুনি, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ হতে পারে। রাতে ঘন ঘন দুঃস্বপ্ন দেখাও কিন্তু স্লিপ অ্যাপনিয়ার উপসর্গ হতে পারে।
৪) ঘুম থেকে উঠেই প্রবল মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়? মাথা ঘোরায়? নিয়মিত এমনটা হলেই সতর্ক হোন। স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হলে ঘুমোনোর সময়ে শরীরে অক্সিজেনের প্রবাহ ঠিক মতো হয় না। তাই মাথা যন্ত্রণা হওয়া স্বাভাবিক।
৫) স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভুগলে ঘুম একেবারেই ঠিকঠাক হয় না। ঘুমের ঘাটতির কারণে মেজাজ বিগড়ে যাওয়া, সঙ্গমে অনীহার মতো সমস্যাও দেখা যায়।
স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা আছে বুঝলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। চিকিৎসার সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণে মন দিন। খাওয়ার ঠিক পরেই শুয়ে না পড়ে একটু হাঁটাহাঁটি করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় যোগাসনের করুন। হজমের সমস্যা কমলে নাক ডাকার সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্ত হওয়া যায়। শোয়ার ভঙ্গি পরিবর্তন করুন। চিত হয়ে না শুয়ে এক পাশ ফিরে শুলে শ্বাসযন্ত্রের উপর চাপ কম পড়ে। স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে চিকিৎসকেরা কন্টিনিউয়াস পসিটিভ এয়ারওয়ে প্রেশার (সিপ্যাপ) মেশিন ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy