মলদ্বীপের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সে দেশের অভিবাসন আইনের একটি সংশোধনী প্রস্তাব পেশ হয় পার্লামেন্টে। তাতে দল নির্বিশেষে সকলেই প্রস্তাবের পক্ষে সায় দেয়। মলদ্বীপ সরকারের বক্তব্য, গাজ়ায় প্যালেস্টাইনিদের উপর হওয়া নৃশংসতা বন্ধ না-হওয়া পর্যন্ত তাদের দেশে ইজ়রায়েলি ভ্রমণকারীদের প্রবেশ নিষেধ! তবে এই প্রস্তাব নতুন নয়। গত বছরের ২৯ মে বিরোধী শিবির মলদ্বীপিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এমডিপি)-র সাংসদ মিকাইল আহমেদ নাসিম প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। প্রায় এক বছর পর মলদ্বীপের পার্লামেন্টারি নিরাপত্তা পরিষেবা কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে পাশ করেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, প্রস্তাবটি পার্লামেন্টে সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়। তবে প্রস্তাবটি পাশ হওয়ার আগে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হল, ওই আইনের একটি ধারা বাতিল করা হয়েছে। যদি কোনও ব্যক্তির দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকে, যাঁর একটি পাসপোর্ট ইজ়রায়েলের হয় তবে ওই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে মলদ্বীপে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না!
আরও পড়ুন:
মলদ্বীপ এবং ইজ়রায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক এমনিতেই ভাল নয়। তবে প্রথমে সম্পর্ক খারাপ ছিল না। ১৯৬৫ সালে মলদ্বীপ যখন স্বাধীনতা পায়, তখন ইজ়রায়েলই প্রথম দেশ, যারা তাদের স্বীকৃতি দিয়েছিল। কিন্তু মলদ্বীপের মুসলিম জনগোষ্ঠী সব সময়ই ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে। যত সময় গড়িয়েছে, দু’দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলার পর সে দেশের বাসিন্দাদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করেছিল মহম্মদ মুইজ্জুর সরকার। উল্লেখ্য, রবিবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মলদ্বীপের মতো ইজ়রায়েলিদের পাসপোর্ট নিষিদ্ধ করেছিল।