লেবাননে ফের হামলা চালাল ইজ়রায়েল। এই হামলায় ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠন হিজ়বুল্লার আরও এক শীর্ষনেতা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ। নিহত ওই হিজ়বুল্লা নেতার নাম নাবিল কাওক। তিনি হিজ়বুল্লার ‘প্রিভেনটিভ সিকিয়োরিটি ইউনিটের’ কমান্ডার ছিলেন। সংগঠনের সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সদস্যও ছিলেন তিনি। অবশ্য নাবিলের মৃত্যুর খবরটি এখনও লেবাননের সশস্ত্র সংগঠনটির তরফে নিশ্চিত করা হয়নি।
গত কয়েক দিন ধরেই লেবাননের রাজধানী বেইরুটে একের পর এক বোমাবর্ষণ শুরু করেছে ইজ়রায়েলি সেনা। শনিবার এমনই এক হামলায় হিজ়বুল্লা প্রধান সৈয়দ হাসান নাসরাল্লার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে ইজ়রায়েল। পরে হিজ়বুল্লার তরফেও নাসরাল্লার মৃত্যুর খবরটি স্বীকার করা হয়। তার পর লেবানন পাঁচ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ, অফিস, এমনকি সরকারি দফতরও। ইজ়রায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ মনে করছে যে, লেবাননের রাজধানী বেইরুটের দক্ষিণ দিকে এবং বেকা উপত্যকায় নিজেদের ঘাঁটি তৈরি করেছে হিজ়বুল্লা। মূলত এই দু’টি অঞ্চলেই আকাশপথে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজ়রায়েল।
আরও পড়ুন:
রবিবারই হিজ়বুল্লা প্রধান হিসাবে নাসরাল্লার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে তাঁরই আত্মীয় হাশিম সাফিদ্দিনকে। গত ৩২ বছর সশস্ত্র সংগঠনটির নেতৃত্বে ছিলেন নাসরাল্লা। ইজ়রায়েলের তরফে দাবি করা হয়েছে, নাসরাল্লা ছাড়াও গত এক বছরে হিজ়বুল্লার মোট আট জন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করেছে তারা। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই সরাসরি প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠনটির পক্ষ নিয়েছে ইরান। সেই ইরানেরই মদতপুষ্ট বলে পরিচিত এই হিজ়বুল্লা। তা ছাড়া প্যালেস্টাইনের পাশে দাঁড়িয়ে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ইয়েমেনের সশস্ত্র সংগঠন হুথিও।