মানুষ নয়, ‘মেয়েমানুষ’ ওরা! মাতৃগর্ভে ভ্রূণ নয়, ‘ভ্রূণা’! কবি কবিতা সিংহ তাই মায়ের কাছে জন্মের আগেই প্রার্থনা করেছিলেন আমাদের ‘জন্ম দিও না মা’। একবার জন্মে গেলে হাজার বিপত্তি। কেমন করে হাসবে, কথা বলবে, কেমন করে হাঁটবে-চলবে, পাশ ফিরবে— সবই নাকি ঠিক করে দেবে অন্য কেউ। কারণ, ওরা ‘মেয়েমানুষ’। কোমল হাতে চুড়ি বাজে রিনিঝিনি, পায়ে পায়জোর। অথচ, সেই হাতই ধরতে পারে কোদাল-শাবল। পায়ের তলার মাটি শক্ত রাখার লড়াই লড়ে যেতে পারে একাই। সঙ্ঘশ্রী, আভেরী আর অরিজিতা তেমনই তিন কন্যা। পুরুষশাসিত সমাজের কালো পিচ রাস্তায় ওঁদের হুল্লোড় মোড় নেয় জীবনের দিকে। সমাজের বেঁধে দেওয়া ৩৬-২৪-৩৬ স্কেলে ঝামা ঘষে দাপিয়ে বেড়ান শহর জুড়ে।
পোশাক মানে আড়ম্বর নয়। সভ্য সমাজে বাস করার প্রয়োজনীয় এই উপাদানে মিলেমিশে থাকে মানুষের মনের সহজাত শিল্পভাবনা। স্বাচ্ছন্দ্য আর নান্দনিকতায় বোনা হয় সেই আচ্ছাদন। তাই তা যেমন আরামের, তেমনই নয়নাভিরাম। সে ক্ষেত্রে কোনও আপসে রাজি নন অভিনেত্রী অরিজিতা মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যে পোশাক আমার আত্মবিশ্বাস টলাবে না, তা-ই আমার কাছে সাহসী পোশাক। সে ক্ষেত্রে বক্ষ বিভাজিকা দেখা গেলে আমার কোনও অসুবিধা নেই, তেমন পোশাক আমি পরি। তবে স্থান কাল পাত্র বুঝে।”