হামাসের হামলায় নিহত পরিবার। ছবি: সংগৃহীত।
অপরাধ একটাই! ওঁরা ইহুদি। তাই তিন শিশু-সহ পরিবারের ছ’জনকে পুড়িয়ে মেরেছে হামাস। মৃত্যুর ঠিক আগের মুহূর্তে বন্ধুকে মেসেজ করেছিলেন ওই ইজ়রায়েলি-আমেরিকান পরিবারের সদস্য। সেই মেসেজ এখন ছড়িয়ে পড়েছে সমাজ মাধ্যমে।
গাজ়ার বাইরে নির ওজ় কিবুৎজ়ে খুন হয়েছেন ইয়োনাটান কেডেম-সিমান টোভ, তাঁর স্ত্রী তামার কেডেম-সিমান টোভ, তাঁদের ছ’বছরের দুই যমজ কন্যা, চার বছরের পুত্র এবং ইয়োনাটানের ৭০ বছরের মা। গত শনিবার হামাস যখন ইজ়রায়েল লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে শুরু করে, তখন বাড়ির ভিতর নিরাপদ এক ঘরে গিয়ে লুকিয়ে ছিলেন ছ’জন। বন্ধুদের সে কথা মেসেজ করেও জানিয়েছিলেন। লিখেছিলেন, ‘‘নিজেদের বাড়িতেই নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছি আমরা, ভাল আছি।’’ ওই পরিবারের ঘনিষ্ঠদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এক ঘণ্টা পরেই সেই নিরাপদ আশ্রয়ে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের গুলি করে মারে হামাস।
খুনের কিছু ক্ষণ আগেই ইয়োনাটান নিজের বোন রানায়ে বাটলারকে মেসেজ করে লেখেন, ‘‘ওরা এসে গিয়েছে। আমাদের পুড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদের দমবন্ধ হয়ে আসছে।’’ এর পরেই ইয়োনাটানের মোবাইল থেকে আর কোনও মেসেজ পাননি তাঁর বোন। ওই পরিবারের বন্ধু ইশাই লাকোব ফেসবুকে লেখেন, ‘‘আমাদের মন ভেঙে গিয়েছে। একটা গোটা পরিবারকে খুন করেছে ওরা। বাচ্চা এবং তাঁদের অভিভাবকদের গুলি করেছে, কারণ ওঁরা ইহুদি ছিলেন। অনেকগুলির মাঝে এটা শুধুমাত্র একটা গল্প।’’ ইয়োনাটান গমচাষ করতেন। তাঁর স্ত্রী তামার ধর্মীয় নেতা ছিলেন। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আঞ্চলিক ইস্যু সংক্রান্ত উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি।
গত ৭ অক্টোবর আচমকা ইজ়রায়েল লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে শুরু করে প্যালেস্তাইনের হয়ে অস্ত্র ধরা হামাস গোষ্ঠী। তাতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১,৩০০ ইজ়রায়েলির। পাল্টা ইজ়রায়েল হামলা চালাচ্ছে গাজ়ায়। তাতে এখন পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ২,৩০০ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy