যুদ্ধে বিধ্বস্ত গাজ়া। —ফাইল চিত্র।
গাজ়ায় ‘প্রতিআক্রমণ’ চালিয়ে যাওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এ বার ‘মানবিক বার্তা’ দিল ইজ়রায়েল। ইজ়রায়েলি সেনার তরফে জানানো হয়েছে, বোমা হামলায় বিধ্বস্ত গাজ়ার আল-শিফা হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাত শিশুদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যেতে প্রস্তুত তারা। রবিবার থেকেই এই উদ্ধারকাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ইজ়রায়েলি সেনার এক মুখপাত্র।
শুক্রবার ইজ়রায়েলের বোমা হামলায় বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে আল-শিফা হাসপাতাল। ওই হামলার পরে বিকল হয়ে গিয়েছে জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা। এই পরিস্থিতিতে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪৫টি শিশু কার্যত মৃত্যুর মুখে বলে স্বশাসিত প্যালেস্টাইনি কর্তৃপক্ষ পরিচালিত স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। যদিও ইজ়রায়েলি সেনা ওই শিশুদের কোথায় নিয়ে যাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ গাজ়ায় এক মাত্র ওই হাসপাতালেই সদ্যোজাত শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।
পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, ইতিমধ্যেই ইনকিউবেটর বিদ্যুতের অভাবে অন্তত দু’টি সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সময়মতো অস্ত্রোপচার এবং কেমোথেরাপি (ক্যানসারে আক্রান্তদের) সম্ভব না-হওয়ায় আরও কয়েকটি শিশুও তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে।
বস্তুত, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরেই গাজ়া ভূখণ্ডে বিদুৎ সরবরাহ ছিন্ন করেছিল ইজ়রায়েলি সেনা। সেই পরিস্থিতিতে জেনারেটরের সাহায্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা চালানো হচ্ছিল। কিন্তু ডিজেলের মজুত শেষ হতে বসায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা ক্রমশ সীমিত হয়ে আসছিল গাজ়ার হাসপাতালগুলিতে। ফলে ইনকিউবেটরে থাকা শিশু এবং আইসিইউতে চিকিৎসাধীনদের বড় অংশের মৃত্যুর আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য দফতর। আল-শিফা হাসপাতালে ইজ়রায়েলি সেনার হামলা সেই আশঙ্কাকেই সত্যি করতে চলেছে বলে অভিযোগ।
ইজ়রায়েলের দাবি, ওই হাসপাতালের নীচে নিজস্ব ‘নেটওয়ার্ক’ তৈরি করেছে প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র সংগঠন হামাস। নিরীহ মানুষকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দু’টি অভিযোগই উড়িয়ে দিয়ে ইজ়রায়েলকে ‘গণহত্যাকারী’ বলে অভিহিত করেছে হামাস। গাজ়ায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার জন্য আরব দুনিয়া তো বটেই, ক্রমশ ইজ়রায়েলের উপর চাপ বৃদ্ধি করেছে পশ্চিমি দেশগুলিও। এই আবহেই এ বার মরণাপন্ন সদ্যোজাতদের গাজ়ার হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করার কথা জানাল ইজ়রায়েলি সেনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy