—প্রতীকী ছবি।
পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের রেশ এখনও কাটেনি। তা নিয়ে জোর চর্চার মধ্যেই এ বার আউশগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে ফোনে হুমকি দেওয়া অডিয়ো ছড়িয়ে পড়ল সমাজমাধ্যমে। সেই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
অভিযোগ, আউশগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস চট্টোপাধ্যায়কে ফোনে তৃণমূলেরই শ্রমিক নেতা শেখ সিরাজ অশ্লীল গালিগালাজ করার পাশাপাশি প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তাপস বলেন, ‘‘আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি শেখ সিরাজের হুমকির বিষয়ে দলকে জানিয়েছি। প্রয়োজনে এফআইআর দায়ের করব।’’ অভিযুক্ত শ্রমিক নেতা ফোনে গালিগালাজের কথা স্বীকার করে নিলেও প্রাণে মারার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ফোনে উত্তেজিত হয়ে কথাবার্তা হয়েছিল। গালিগালাজ করেছিলাম সত্য। তাপস চট্টোপাধ্যায়ও আমাকে গালিগালাজ করেছিল। কিন্তু আমি মারার হুমকি দিইনি।’’
আউশগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস এবং তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি শেখ সিরাজের মধ্যে ওই কথোপকথন প্রকাশ্যে আসে গত বৃহস্পতিবার। প্রসঙ্গ ছিল কৃষি দফতর থেকে কৃষকদের জন্য দেওয়া ছোলার বীজ। তাপস গুসকরা ২ নম্বর অঞ্চলের আলিগ্রামের বাসিন্দা। ওই অঞ্চলেরই নওয়াদা গ্রামের বাসিন্দা শেখ সিরাজ। কৃষি দফতর থেকে সম্প্রতি কৃষকদের জন্য ছোলার বীজ দেওয়া হয়। আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লক কৃষি বিভাগ থেকে ওই বীজ দেওয়ার পর প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, নওয়াদা গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ সরকারি অনুদানের ছোলার বীজ নিয়েই তাপসকে বৃহস্পতিবার ফোন করেন। কেন তাঁদের বুথে প্রাপ্য বীজ দেওয়া হল না, এ নিয়ে সিরাজ অভিযোগ তুলে তাপসকে ফোন করেন। অভিযোগ, সেই সময়েই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন সিরাজ।
তাপস বলেন, ‘‘গুসকরা অঞ্চলের কৃষকদের জন্য চার কুইন্টাল ছোলা বীজ দেওয়া হয় পঞ্চায়েতের হাতে। সেগুলি সব এলাকায় ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শেখ সিরাজ আমাকে দায়ী করে গালিগালাজ দেয়। হুমকি দেয়। এ নিয়ে আমি কিছুটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। দলকেও জানিয়েছি।’’ সিরাজ যদিও বলেন, ‘‘চার কুইন্টাল বীজের মধ্যে ৬০ কেজির হিসাব দিতে পারছে না। তাই আমি একটু উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ করেছি। তবে হুমকি দিইনি।’’
এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। বিজেপির আউশগ্রাম বিধানসভার কনভেনার চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতাদের চুরি এ বার রাস্তায় নেমে এসেছে। ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিবাদ। ভাগে কম হলেই ঝামেলা বাড়ছে।’’ পাল্টা রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘কী হয়েছে, জানি না। তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সব নজর রাখছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy