গাজ়ার হাসপাতালকে ব্যবহার করছে হামাস, অভিযোগ ইজ়রায়েলের। ছবি: সংগৃহীত।
গাজ়ার বৃহত্তম হাসপাতালকে নিজেদের সদর দফতর বানিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তাদের উদ্দেশ্য, ইজ়রায়েল যাতে গাজ়ার সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। সাধারণ মানুষকেই ‘ঢাল’ হিসাবে ব্যবহার করছে হামাস। এমনটাই দাবি করল ইজ়রায়েল।
এর আগেও ইজ়রায়েল দাবি করেছিল, গাজ়ার নাগরিকদের ‘মানব ঢাল’ হিসাবে ব্যবহার করছে হামাস। আবারও সেই দাবিই করে তেল আভিভের দাবি, গাজ়ার হাসপাতালগুলিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে হামাস। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু লেখেন, ‘‘হামাস-আইএসআইএস অসুস্থ। তারা হাসপাতালকে নিজেদের সন্ত্রাসের সদর দফতর করছে। গোয়েন্দা সূ্ত্রে যে তথ্য পেয়েছি, তা প্রকাশ করা হল।’’ যদিও হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গাজ়ায় কাজ করছে রাষ্ট্রপুঞ্জের যে দল, তারাও ইজ়রায়েলের দাবি মানেনি।
ইজ়রায়েল অনড়। তাদের সেনার মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে যুদ্ধ করছে হামাস। কোন হাসপাতালে এ রকম চলছে, তা-ও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, গাজ়ার আল-শিফা হাসপাতাল থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করছে হামাস। সেখানে জঙ্গিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। হাসপাতালে যে জ্বালানি মজুত রয়েছে, তা-ও ব্যবহার করছে হামাস।
৭ অক্টোবর ইজ়রায়েল ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হামাস। মারা যান প্রায় ১,৪০০ জন নাগরিক। পাল্টা গাজ়ায় হামলা শুরু করে ইজ়রায়েল। তাতে প্রাণ হারিয়েছেন এখন পর্যন্ত সাত হাজারেরও বেশি সাধারণ মানুষ। হাতের পাশাপাশি, গাজ়াকে ভাতে মারার পদক্ষেপ করে ইজ়রায়েল। গাজ়ায় খাবার, বিদ্যুৎ, জ্বালানির জোগান বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে গাজ়া। অন্ধকারে ডুবে যায় হাসপাতাল। মানবাধিকার সংগঠনগুলি আঙুল তোলে ইজ়রায়েলের দিকে। ইজ়রায়েলের দাবি, গাজ়ার হাসপাতাল এখন ব্যবহার করছে হামাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy