চার বছরের ছাত্রীকে মারধর এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ৪২ বছর বয়সি এক স্কুলশিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সম্প্রতি গুজরাতের রাজকোটে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিশু সুরক্ষা আইন (পকসো)-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে শুরু হয়েছে তদন্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযু্ক্ত শিক্ষিকা রাজকোটের একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াতেন। ওই স্কুলেরই চার বছর বয়সি এক ছাত্রীকে মারধর এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে মাকে জানায়, তার পেটে ও যৌনাঙ্গে ব্যথা হচ্ছে। মা তাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে জানা যায়, যৌনাঙ্গে অভ্যন্তরীণ আঘাতের জেরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে ওই শিশুর দেহে। মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের পর মা জানতে পারেন, স্কুলে শিক্ষিকা তাকে মারধর করেছেন। এর পরেই ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে শিশুটির পরিবার।
আরও পড়ুন:
শনিবার একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, গত ১১ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটেছে। শিশুটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ৪২ বছর বয়সি ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ডিসিপি জগদীশ বাঙ্গারওয়া পিটিআইকে বলেন, ‘‘নির্যাতিতা মেয়েটি ঠিক মতো কথা বলতে অক্ষম, তার মানসিক চিকিৎসাও চলছে। সে কারণে সে স্পষ্ট করে বলতে পারেনি কী ভাবে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, মারধরের পাশাপাশি কলম কিংবা আঙুলের সাহায্যে তার যৌনাঙ্গে আঘাত করা হয়েছে।’’
পুলিশ সূত্রেই খবর, স্কুলে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, গত ১১ এপ্রিল অধ্যক্ষ শিশুটিকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই শিক্ষক। পাশাপাশি, স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফেও শ্রেণিকক্ষের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে দাবি করা হয়েছে যে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। অন্য দিকে, খবর প্রকাশ্যে আসতেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। দোষীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিরোধী দল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের সদস্যেরা। তাঁদের কয়েক জনকে আটকও করেছে পুলিশ।