ইজ়রায়েলি হানায় বিধ্বস্ত গাজ়া। ছবি: রয়টার্স।
তিন মাস আগেই রকেট হামলায় মৃত্যু হয়েছে গাজ়া ভূখণ্ডে হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকারের প্রধান রাওহি মুস্তাফার। বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি দিয়ে এমনটাই দাবি করল ইজ়রায়েল। তাদের দাবি, মুস্তাফার সঙ্গে তাঁর দুই নিরাপত্তা আধিকারিক সামেহ অল-সিরাজ এবং সামি অউধেরও মৃত্যু হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠনটির তরফে কিছু জানানো হয়নি। হামাস এখনও পর্যন্ত মুস্তাফার মৃত্যুর খবরও স্বীকার করেনি।
ইজ়রায়েলি সেনার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর গাজ়ায় মাটির তলায় থাকা হামাসের একটি ডেরায় হামলা চালানো হয়েছিল। হামলার হাত থেকে বাঁচতে সেখানে আত্মগোপন করেছিলেন ওই তিন জন। কিন্তু ভূগর্ভস্থ সেই ঘাঁটিকে চিহ্নিত করে আকাশপথে হামলা চালায় ইজ়রায়েল। ইজ়রায়েলি সেনার দাবি, তাদের হামলায় মৃত্যু হয় তিন জনেরই।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজ়রায়েলে হামলা চালিয়েছিল হামাস। তার কিছু দিন পরেই গাজ়ায় হামাস ‘নিকেশের’ লক্ষ্যে অভিযান শুরু করে ইজ়রায়েল। প্রায় এক বছর ধরে সেখানে দু’পক্ষের লড়াই চলছে। গাজ়ার স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সংঘাতের জেরে প্রায় ৪১ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। ইজ়রায়েল মনে করে, গত ৭ অক্টোবরের হামলার নেপথ্যে ছিল হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মাথা। মুস্তাফা সিনওয়ারের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে।
গত ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরানে নিহত হন ইসমাইল হানিয়ে। তবে সিনওয়ারের মৃত্যু নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও দাবি করেনি ইজ়রায়েল। মনে করা হয়ে থাকে, হামাসের এই নেতা গাজ়ারই গোপন কোনও আস্তানায় লুকিয়ে রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy