ইজ়রায়েলে ঢুকতেই দেওয়া হল না ব্রিটেনের দুই মহিলা সাংসদকে। বিমানবন্দরেই আটক করা হয় ইউন ইয়ং এবং আবতিসাম মহম্মদ নামে দুই সাংসদকে। পরের বিমানেই তাঁদের ব্রিটেনে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ব্রিটেন এবং ইজ়রায়েলের কৃটনৈতিক সম্পর্ক। ঘটনার নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছেন ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।’’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির দুই সদস্য লন্ডন থেকে ইজ়রায়েলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের ইজ়রায়েলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। দুই মহিলা সাংসদকে বিতাড়ন করে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। তবে কী কারণে ইউনদের আটকানো হল এবং ফেরত পাঠানো হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ইজ়রায়েলি প্রশাসনের এই পদক্ষেপে খুশি নয় ব্রিটেন। ল্যামি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘ঘটনাটি খুবই উদ্বেগজনক। এই ধরনের আচরণ একেবারেই উচিত নয়। ইজ়রায়েলি সরকারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’ উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই হামাসের সঙ্গে ইজ়রায়েলের যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা চালাচ্ছে ব্রিটেন। মনে করা হচ্ছে, সেই উদ্দেশ্যেই ইজ়রায়েল সফরে গিয়েছিলেন ব্রিটেনের দুই মহিলা সাংসদ। ল্যামির কথায়, ‘‘ব্রিটেন সরকারের লক্ষ্য যুদ্ধবিরতি এবং রক্তপাত বন্ধ করা। সেই সঙ্গে পণবন্দিদের মুক্তি এবং গাজ়া সংঘাতের অবসানও চায় আমাদের সরকার। আমরা মনে করি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বার হবে।’’
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরেই গাজ়ায় হানা দিয়েছিল ইজ়রায়েলি সেনা। প্রথমে বন্দুকের নলের সামনে রেখে উত্তর গাজ়া ফাঁকা করানো হয়। এর পরে স্থল অভিযানে মধ্য ভূখণ্ডও গ্রাস করেছে তারা। ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, ধূলিসাৎ করেছে। তার পর টানা হামলা চলেছে দক্ষিণে, খান ইউনিসে। এ বার ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নিশানা গাজ়া ভূখণ্ডের একেবারে দক্ষিণ প্রান্ত রাফা। যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই নতুন করে গাজ়ায় হামলা শুরু করেছে ইজ়রায়েলি সেনা। গাজ়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত মাসে পর পর ইজ়রায়েলি হামলায় এখনও পর্যন্ত ১২৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।