সেরে উঠছেন সলমন রুশদি। ফাইল চিত্র।
ক্ষত সামলে সেরে উঠছেন সলমন রুশদি। সংবাদমাধ্যমের কাছে এই আশার বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রবীণ সাহিত্যিকের ছেলে ও লিটারারি এজেন্ট তথা লেখক-প্রতিনিধি। প্রায় ২৪ ঘণ্টারও বেশি উৎকণ্ঠার প্রহর কাটিয়ে শনিবারই ভেন্টিলেটর থেকে সরানো হয়েছে তাঁকে। রবিবার লেখকের প্রতিনিধি অ্যানড্রু ওয়াইলি জানিয়েছেন, ‘ভেন্টিলেটর থেকে সরানোর পরেই সুস্থতার দিকে যাত্রা শুরু হয়েছে বর্ষীয়ান এই সাহিত্যিকের। ক্ষত গভীর, সারতে বহু সময় লাগবে। তবে এটুকু বলা যায়, সুস্থতার সঠিক দিশায় এগোচ্ছেন তিনি।’ একই কথা টুইট করে জানিয়েছেন লেখকের প্রাক্তন স্ত্রী পদ্মা লক্ষ্মীও।
এ দিকে, সোমবার ইরানের বিদেশ মন্ত্রক দাবি করেছে রুশদির উপর হামলার জন্য দায়ী এক মাত্র রুশদি স্বয়ং ও তাঁর অনুরাগী-সমর্থকেরা। মন্ত্রকের মুখপাত্র নাসের কানানির মতে, বাকস্বাধীনতা কখনওই ধর্মঅবমাননার সমার্থক হতে পারে না। সলমন রুশদি নিজের লেখার মাধ্যমে স্বয়ং নিজেকে এ ভাবে বিপন্ন করেছেন। সাহিত্যিকের উপর মৃত্যুর ফতোয়া জারি হওয়ার পর পেরিয়েছে ৩৩টা বছর। কিন্তু এ ভাবেই রয়ে গিয়েছে ফতোয়ার আঁচ।
পশ্চিম নিউ ইয়র্কের শুটোকোয়া ইনস্টিটিউটের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়েই শুক্রবার ছুরির হামলার মুখে পড়েন ৭৫ বছরের রুশদি। মঞ্চে উঠে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হাদি মাটার নামে এক যুবক। এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ বসাতে থাকে। গুরুতর জখম রুশদিকে নিয়ে যাওয়া হয় নিউ ইয়র্কের এক হাসপাতালে। দীর্ঘ সময় ধরে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। রুশদির সুস্থতার দিকে যাত্রার খবরে স্বস্তিতে তাঁর অনুরাগীরা। অল্প কথাও বলেছেন তিনি বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি।
১৯৮৯ সালে ইরানের তৎকালীন শীর্ষ নেতা আয়াতোল্লাহ খোমেইনির জারি করা ফতোয়ার পরে দীর্ঘ সময় আত্মগোপন করেন রুশদি। সেই সময়ের স্মৃতিচারণায় তিনি এক বার বলেছিলেন, ‘জীবনের কঠিন সময়ে আশাই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। কঠিন সময়ের শেষে অপেক্ষায় থাকে একটি শুভ সমাপ্তি, এ বিশ্বাস আমার বরাবরের।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy