Inside Hong Kong’s concrete Jungle, there is a Monster dgtl
Hong Kong
Monster Building: ১৮টি তলে ২২৪৩টি ফ্ল্যাটে থাকেন ১০ হাজার মানুষ, বাস্তবে অস্তিত্বই নেই হংকংয়ের দৈত্যের!
দু’টি কল্পবিজ্ঞানের ছবির দৃশ্যায়ন হয়েছিল দৈত্য অট্টালিকায়। চিত্রগ্রাহকদেরও প্রিয় এই বাড়ি।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২১ ১৪:৩৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
বাড়িটার চেহারা একখানা বিশাল দৈত্যের মতো। মাটি থেকে সটান দাঁড়িয়ে সে। সারা গায়ে বিজবিজে আলোর ঝিকমিক।
০২১২
সেখানে ঘাড় গুঁজে ঠাসাঠাসি করে রয়েছে শ’য়ে শ’য়ে খুপরি ঘর। চাপ পড়লে যেন পিছলে বেরিয়ে যেতে পারে, এমনই হাল। ঘরগুলো দেখলে মনে হয় যেন একে অপরকে কনুইয়ের গুঁতোয় সরিয়ে আর একটু জায়গা করে নিতে চাইছে।
০৩১২
পাঁচটা বাড়ি গায়ে গায়ে জুড়ে তৈরি এই বিশাল আবাসন। ১৮টি তলে ২২৪৩টি ফ্ল্যাট। অন্তত ১০ হাজার মানুষ বাস করেন এই বাড়ির ভিতরে।
০৪১২
হংকংয়ের কোয়ারি বে-র ইয়ায়ু মান স্ট্রিটের অনেকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে এই ‘দৈত্য’। রাস্তার ২ থেকে ৩২ নম্বরের দখলদার সে।
০৫১২
পোশাকি নাম মনস্টার বিল্ডিং। দৈত্যের মতো চেহারা, তাই নামেও দৈত্য। তবে এ নামটুকু ছাড়া এর সঙ্গে ভূত-প্রেত-দত্যি-দানোর কোনও সম্পর্ক নেই।
০৬১২
যদিও সিনেমার শ্যুটিং হয়েছে এখানে। দু’টি কল্পবিজ্ঞানের ছবি ‘গোস্ট ইন দ্য শেল’ আর ‘ট্রান্সফরমারস: এজ অফ এক্সটিনশন’-এর দৃশ্যায়ন হয়েছিল মনস্টার বিল্ডিংয়ে। ‘ল্যাবেরিন্থ’ আর ‘কেভ মি ইন’ নামে দু’টি মিউজিক ভিডিয়োও শ্যুট করা হয়েছে। ভূত না থাক, রহস্যময় আবহের প্রয়োজনে রুপোলি পর্দার কলাকুশলীরা ‘মনস্টার’-এর দ্বারস্থ হয়েছেন বহু বার।
০৭১২
এ তো গেল চলচ্চিত্রের কথা। ‘মনস্টার’ সাধারণ চিত্রগ্রাহকদেরও একই ভাবে আকর্ষণ করে চলেছে। পর্যটকদের অত্যাচারে তিতিবিরক্ত দৈত্যবাড়ির বাসিন্দারা তাই বাড়ির বাইরে নোটিস ঝুলিয়েছেন— ‘ছবি তুলতে হলে ভিতরে ঢুকবেন না’।
দেখতে ইংরেজি ‘ই’ অক্ষরের মতো। নীচে দাঁড়িয়ে মাথা তুললে দেখা যায় ছোট্ট এক ফালি আকাশ। ‘মনস্টার’-এর আলো বিজবিজে শরীরকে চারপাশে রেখে সেই আকাশ ক্যামেরাবন্দি করেছেন নামজাদা সব চিত্রগ্রাহক।
১০১২
ষাটের দশকে জন্ম মনস্টার-এর। দেশের স্বল্প উপায়ীদের জন্য সরকারি ভর্তুকিতে ঘরের ব্যবস্থা করতে তৈরি করা হয়েছিল। তবে তখনও সে ‘মনস্টার’ হয়ে ওঠেনি। নাম ছিল বাকগা সানজুন।
১১১২
পরে ১৯৭২ সালে বিক্রি হয়ে যায়। পাঁচটি আলাদা আলাদা ব্লকে ভেঙে দেওয়া হয় ‘মনস্টার’কে। গায়ে গায়ে লেগে থাকা সেই পাঁচটি বাড়ির নাম ফুক সেয়ং বিল্ডিং, মন্তানে ম্যানসন, ওসিয়নিক ম্যানসন, ইক সেয়ং বিল্ডিং এবং ইক ফ্যাট বিল্ডিং। এর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু ওসিয়নিক।
১২১২
সরকারি খাতায় অবশ্য ‘মনস্টার’-এর কোনও অস্তিত্ব নেই। ওই নামের কোনও বাড়িই নেই হংকংয়ে। সরকারি নথিতে বিশাল বাড়িটি নেহাৎই পাঁচটি ভবন নিয়ে তৈরি একটি আবাসন। ‘মনস্টার’ আসলে ডাক নাম। দৈত্যবাড়িকে ওই নাম দিয়েছেন হংকং-য়ের মানুষ। গোটা পৃথিবীতে যা এখন ওই নামেই পরিচিত।