পানশালার বাথরুমে দেবদেবীর ছবি। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
বাথরুমে হিন্দু দেবদেবীর ছবি। দেখে মাথা ঠিক রাখতে পারেননি মহিলা। চিঠি লিখে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরিবর্তে কী জবাব পেলেন জানেন?
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা অঙ্কিতা মিশ্র। তিনি আমেরিকার ওহায়োর বাসিন্দা। সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক গিয়েছিলেন। বন্ধুদের সঙ্গে ঢুকেছিলেন ‘হাউস অফ ইয়েস’ পানশালায়। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু ভিআইপি বাথরুমে ঢুকে রীতিমতো থতমত খেয়ে যান তিনি। দেখেন, ডেকরেশনের নামে বাথরুমের দেওয়াল জুড়ে লাগানো রয়েছে হিন্দু দেবদেবীদের ছবি। লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কালী, শিব, রাধা, কৃষ্ণ -কেউই বাদ যাননি। দেখে নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি অঙ্কিতা। প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানান। পরে পানশালার মালিককে চিঠি লেখেন তিনি।
তাতে জানান, ভারতীয় এবং হিন্দু সংস্কৃতি সম্পর্কে বিদেশিদের উদাসীনতা দেখতে অভ্যস্ত তিনি। এতদিনে ব্যাপারটা খানিকটা গা সওয়াও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাথরুমে দেবদেবীর ছবি লাগানোটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। অন্য সংস্কৃতি সম্পর্কে যতই উদাসীন হই না কেন আমরা, সে হিন্দু ধর্ম হোক বা ইসলাম অথবা খ্রিষ্টান, কোনও ভগবানের ছবি কি বাথরুমে লাগানো যায়? হিন্দু ধর্মে পুজো আচ্চা নিয়ে ছেলেখেলা একেবারেই চলে না। আর সেখানে কি না বাথরুমে ভগবানকে বসানো হয়েছে! যেখানে রাজ্যের লোক জুতো পরে ঢুকছে। জামা কাপড় খুলে প্রাকৃতিক কর্ম সারছে। শুধুমাত্র উদাসীনতার অজুহাতে নিজেদের দায়িত্ব কি ঝেড়ে ফেলতে পারেন পানশালা কর্তৃপক্ষ?
পানশালার বাথরুমে হিন্দু দেবদেবীদের ছবি।
আরও পড়ুন: সচিবালয়ের মধ্যেই কেজরীবালের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো! গ্রেফতার আক্রমণকারী
আরও পড়ুন: ব্রেকিং: দুপুরে মমতার ধমক, বিকেলে মেয়র-মন্ত্রীর পদ থেকে শোভনের ইস্তফা
চিঠির জবাব পাবেন বলে ভাবতেই পারেননি অঙ্কিতা। তবে জবাব আসে। পাল্টা চিঠি লিখে তাঁর কাছে ক্ষমা চান পানশালার সহ প্রতিষ্ঠাতা ও ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর কে বার্ক। শুরুতেই নিজের ভুল স্বীকার করে নেন। জানান, হিন্দু সংস্কৃতি ও দেবদেবীদের সম্পর্কে একেবারেই ওয়াকিবহাল নন তিনি। জানার চেষ্টা যে করেছিলেন তাও নয়। বরং নেহাত দেওয়াল সাজানোর ঝোঁকে ছবিগুলি লাগিয়ে ফেলেছিলেন। ছবিগুলি সরিয়ে নিতে একটু সময় চান তিনি। অঙ্কিতাকে নিজের ফোন নম্বরও দেন তিনি, যাতে প্রয়োজনে শলা পরামর্শ করতে পারেন।
এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু তার পর হিন্দু দেবদেবীদের ছবি সরিয়ে তার জায়গায় বাথরুমের দেওয়ালে বিশ্ববিখ্যাত মানবাধিকার এবং নারীবাদী আন্দোলনের প্রবাদপ্রতিম নেতাদের ছবি লাগানোর প্রস্তাব দেন কে বার্ক। তা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়। তাঁর সঙ্গে একমত হতে পারেননি অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy