জঙ্গিদের প্রতি ‘সহানুভূতিশীল’ বলে অভিযোগ এনে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি ভারতীয় ছাত্রী রঞ্জনী শ্রীনিবাসনের ভিসা বাতিল করেছে। আমেরিকা থেকে কানাডায় গিয়ে মুখ খুলেছেন রঞ্জনী। দাবি করেছেন, আমেরিকার পরিবেশ বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। আমেরিকারই একটি সংবাদপত্রে শনিবার ছাপা হয়েছে রঞ্জনীর বক্তব্য।
৩৭ বছরের রঞ্জনী কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নগর পরিকল্পনা বিষয়ে ডক্টরেট করছিলেন। রঞ্জনী বলেছেন, পরিবেশটা এতটাই ‘বিপজ্জনক আর অস্থির’ হয়ে উঠেছিল যে তিনি দ্রুত আমেরিকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। রঞ্জনীর কথায়, ‘‘আমার ভয় হচ্ছে যে, আমরা সকলেই যেমন সমাজমাধ্যমে নানা কথা বলি, তেমন খুব সাধারণ রাজনৈতিক মন্তব্যও এখন আপনার জীবনকে দুঃস্বপ্নে বদলে দিতে পারে। সেখানে আপনাকে আক্ষরিক অর্থেই জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে ধরে নেওয়া হবে।’’
৫ মার্চ চেন্নাইয়ের আমেরিকান কনস্যুলেট থেকে একটি ইমেল মারফত রঞ্জনী তাঁর ভিসা বাতিলের বিষয়টি জানতে পারেন। বিভ্রান্ত হয়ে তিনি কলাম্বিয়ার আন্তর্জাতিক ছাত্র অফিসে যোগাযোগ করেন। সেখানে তাঁর এনরোলমেন্ট বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এর পরে তাঁকে ‘হামাস সমর্থক’ বলে অভিযুক্ত করা হয়। তাঁকে খুঁজতে ক্যাম্পাসে হানা দেওয়া হয়। প্রথম বার রঞ্জনী দরজা বন্ধ করে বসেছিলেন। দ্বিতীয় বার হানাদারি হওয়ার আগেই তিনি উড়ান ধরে কানাডায় চলে যান। গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যালেস্টাইনপন্থী সমাবেশ থেকে রঞ্জনী গ্রেফতার হন। পরে সে মামলা খারিজও হয়ে যায়। রঞ্জনী বলেছিলেন, তিনি সমাবেশের অংশ ছিলেন না, ভিড়ে আটকে পড়েছিলেন। তার পরেও আমেরিকা প্রশাসন তাঁকে ‘জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতিশীল’ বলে চিহ্নিত করে রেখেছে এবং দাবি করছে রঞ্জনী আত্ম-নির্বাসন বেছে নিয়েছেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)