হোয়াইট হাউসে সুধা সুন্দরী নারায়ণন-সহ পাঁচ জনের নাগরিকত্ব-প্রদান অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রয়টার্স
তাঁর কঠোর অভিবাসন নীতির জন্য বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা নিয়মিত আক্রমণ করেন তাঁকে। খুব সম্প্রতি করোনা অতিমারির জেরে কাজ হারানো মার্কিন নাগরিকদের চাকরির সুযোগ করে দিতে এইচ-১বি ভিসাতেও কড়াকড়ি করেছেন তিনি। যার জেরে আমেরিকায় কর্মরত ভারতীয়দের একটা বড় অংশ উদ্বেগে। কিন্তু এ বার উল্টো পথে হাঁটলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। খাস হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে ঘটা করে এক ভারতীয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে আমেরিকার নাগরিকত্ব দিলেন প্রেসিডেন্ট। ঘানা, লেবানন, সুদান, বলিভিয়ার চার নাগরিককেও মার্কিন নাগরকিত্ব দেওয়া হয় ওই অনুষ্ঠানে। কাল রিপাবলিকানদের জাতীয় কনভেনশনে সেই অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো সম্প্রচারও করা হয়েছে।
সুধা সুন্দরী নারায়ণন। ১৩ বছর আগে ভারত থেকে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দিয়েছিলেন। বর্তমানে স্বামী আর দুই সন্তানের সঙ্গে এখানেই থাকেন এই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। বাকি চার দেশের নাগরিকদের পাশে গোলাপি শাড়ি পরা সুধার ছবি এখন ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে ট্রাম্পকেও। হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটির ভারপ্রাপ্ত সচিব চাড উলফ এই পাঁচ নতুন নাগরিককে দিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করান। এক হাত উপরে তুলে অন্য হাতে আমেরিকার জাতীয় পতাকা নিয়ে আমেরিকার সংবিধানের প্রতি আনুগত্যের শপথ নেন এই পাঁচ জন।
ট্রাম্প অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘‘আজ আমেরিকার আনন্দের দিন। পাঁচটি দেশের অসাধারণ পাঁচ নাগরিক আমেরিকার বৃহৎ পরিবারের সদস্য হচ্ছেন।’’ সুধার প্রসঙ্গে তিনি জানান, দুই সুন্দর সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে সুধার ছোট্ট সুখের সংসার। এই নতুন পাঁচ নাগরিকের প্রেসিডেন্ট হতে পেরে তিনি গর্বিত বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গেই এই পাঁচ জনকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘‘আজ থেকে আপনাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আমেরিকার সংবিধানকে রক্ষা করার দায়িত্ব এখন আপনাদের হাতে।’’ সমালোচকেরা বলছেন, অভিবাসন নিয়ে একের পর এক কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া ট্রাম্প এখন নির্বাচনের আগে সেই অভিবাসীদেরই কাছে টানার চেষ্টা করছেন। অতিমারির আবহে নিজের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি দেখাতে তাই হোয়াইট হাউসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন: ‘অনুদান’ প্রকল্প জার্মানির, চাঙ্গা হচ্ছে ইউরোপ
হোয়াইট হাউসের রোজ় গার্ডেনের অনুষ্ঠানে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়াও নিজের অভিবাসী-জীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘১৯৯৬ সালে আমেরিকায় এসেছিলাম। ১০ বছর পরে কঠিন পরিশ্রম, ধৈর্য আর বৈধ সরকারি কাগজপত্রে সই সাবুদের মাধ্যমে এ দেশের নাগরিক হতে পারি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy