এস জয়শঙ্কর। ফাইল চিত্র।
শান্তি আলোচনায় এ বার তালিবানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করল নয়াদিল্লি। সোমবার এক ওয়েব কনফারেন্সে এমনই দাবি করলেন কাতার সরকারের এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক মুতলাক বিন মাজেদ অল কাহতানি। তাঁর দাবি, তালিবানের সঙ্গে ‘নিশ্চুপে’ আলোচনার জন্য ভারত থেকে প্রতিনিধিরা এসেছিলেন।
সম্প্রতি কাতারে গিয়ে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে প্রশাসনিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। কাহতানির দাবি, রাজধানী দোহাতেই তালিবান নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয় ভারতের প্রতিনিধিদের। জয়শঙ্করের এই সফরের কয়েক দিনের মধ্যেই কাতারের ওই শীর্ষস্তরের আধিকারিকের দাবি সাড়া ফেলে দিয়েছে। যদিও ভারতের বিদেশমন্ত্রক কাহতানির এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। এমনকি কোন পর্যায়ে, কাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে সে বিষয়েও কোনও রকম মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছে।
আগামী সেপ্টেম্বরেই আমেরিকা-ন্যাটোর যৌথবাহিনী আফগানিস্তান থেকে তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডো বাইডেনের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনাতে বসতে চলেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসরফ ঘানি। কাহতানির মতে, ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সরলেই তালিবানরা সেখানকার প্রধান শক্তি হয়ে উঠতে পারে। ফলে ফের শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার একটা প্রবল আশঙ্কা তৈরি হবে।
কাহতানি আরও বলেন, “সকলেই মনে করেন না যে, তালিবান আগামী দিনে আফগানিস্তানের প্রধান শক্তি হয়ে উঠবে। তবে যে হেতু আফগানিস্তানের মূল চাবিকাঠি তালিবানদের হাতে, তাই তাদের সঙ্গেই নানা বিষয়ে আলোচনা এবং বৈঠকের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।” এর আগে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, মোদী সরকার সরাসরি তালিবানের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করছে। বিদেশমন্ত্রকের এক মুখপাত্রও দাবি করেছিলেন, আফগানিস্তানের উন্নয়নে সেখানকার বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে নয়াদিল্লি। সোমবার কাহতানির এই দাবি অতীতের সেই রিপোর্টকেই ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy