সেই দক্ষিণ চিন সাগর। ছবি-ইন্টারনেট।
বেজিঙের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাইলে, দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে ভারত অযথা নাক গলানো বন্ধ করুক।
বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র ভারত সফরের আগে চিনা সরকারি সংবাদপত্রে এ ভাবে হুঁশিয়ারি দিয়ে ভারতের ওপর কার্যত, পাল্টা চাপ তৈরি করল বেজিং।
চিনের সরকারি সংবাদপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’-এ একটি নিবন্ধে লেখা হয়েছে, ‘‘ভারত যদি চায় চিনে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ পণ্যগুলির রফতানি শুল্ক কম থাকুক, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার হোক, তা হলে বিদেশমন্ত্রী ওয়াঙ ই’র ভারত সফরের সময় দিল্লি এটা বোঝানোর চেষ্টা করুক যে, দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে অযথা নাক গলানো তারা বন্ধ করবে। ভারত যদি মনে করে, ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ পণ্যের ওপরে বেজিং শুল্ক হ্রাস করলে তার রফতানি বাণিজ্য বাড়বে, তা হলে যে ইস্যুতে দিল্লির নাক না গলালেও চলে, সে ব্যাপারে দিল্লি আরও সতর্ক হোক। যাতে এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও খারাপ না হয়ে যায়।’’ চিনা বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফর শুরু হচ্ছে ১৩ অগস্ট।
দক্ষিণ চিন সাগরের মতো একটা ‘স্পর্শকাতর’ ইস্যুতে ভারতের অবস্থান যে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চিনকে আরও কিছুটা বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন না। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে বেজিঙের দীর্ঘ দিনের দাবি খারিজ হয়ে যাওয়ায় চিনের ওপর সেই চাপটা আরও বেড়ে গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ‘‘সেই চাপ কিছুটা হাল্কা করতেই ভারতের ওপর পাল্টা চাপ সৃষ্টির কৌশল নিল চিন। খানিকটা বাধ্য হয়েই ভারতকে ভাতে মারার হুমকি দিল।’’
আরও পড়ুন- একটা মাত্র এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার, তাও যুদ্ধের অযোগ্য, প্রবল চাপে চিন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy