মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র
ভারত-মার্কিন ‘শুল্ক-যুদ্ধে’এ বার সরাসরি হস্তক্ষেপ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের শুল্ক বৃদ্ধি মেনে নেওয়া যায় না এবং অবশ্যই তা প্রত্যাহার করা উচিত, মন্তব্য আমেরিকার প্রেসিডেন্টের। বিষয়টি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। জাপানের ওসাকায় শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগেই ট্রাম্প ভারতের উপর চাপ তৈরি করে রাখলেন বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। যদিও ভারতের দাবি, অন্যান্য দেশের তুলনায় এই শুল্ক হার বেশি নয়।
আমেরিকার শুল্ক বৃদ্ধির জবাবে গত ১৫ জুন ভারত ২৮ টি পণ্যের উপর শুল্ক বৃদ্ধি করে। অর্থাৎ আমেরিকা আমদানি করলে এই ২৮টি পণ্যের উপর বেশি হারে শুল্ক দিতে হবে। নয়াদিল্লির এই সিদ্ধান্তেই ক্ষুব্ধ আমেরিকা। এবং এই শুল্কবৃদ্ধিই তুলে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার একটি টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘বহু বছর ধরে এমনিতেই আমেরিকার আমদানির উপর ভারত উচ্চ হারে শুল্ক চাপিয়ে রেখেছে। সম্প্রতি সেটা আবারও বাড়ানো হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না এবং অবশ্যই এটা তুলে নেওয়া উচিত। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।’’
শুল্ক নিয়ে ইন্দো-মার্কিন ঠান্ডা যুদ্ধের সূত্রপাত এ মাসের গোড়ায়। আমেরিকার থেকে ভারত যে সব পণ্য আমদানি করে, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এবং সবচেয়ে বেশি আমদানিকারী হিসেবেঅনেক ক্ষেত্রেই ছাড় পেত ভারত। স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়ামের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ছিলই না। কিন্তু গত ১ জুন থেকে সেই সুবিধা তুলে নিয়ে এই দুই পণ্যের উপর কর চাপিয়ে দেয় ওয়াশিংটন। শুধু ভারতই নয়, অধিকাংশ অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও একই ভাবে শুল্ক বাড়ানো হয়, অথবা নতুন করে শুল্ক চাপানো হয়। জবাবে ১৫ জুন থেকে ভারতও ২৮টি পণ্যের উপর শুল্ক অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাতেই ক্ষুব্ধ হোয়াইট হাউস।
I look forward to speaking with Prime Minister Modi about the fact that India, for years having put very high Tariffs against the United States, just recently increased the Tariffs even further. This is unacceptable and the Tariffs must be withdrawn!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) June 27, 2019
আরও পডু়ন: ওদের হাত ধরার কথা বলেননি মমতা: তৃণমূল, বাম কংগ্রেস বলল বলেছিলেন, তবে ‘নো চান্স’
আরও পডু়ন: গুলি চালিয়েছে পুলিশই, বিজেপির দাবি ঘিরে ফের রণক্ষেত্র গুড়াপ
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার ওসাকায় জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের ফাঁকে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই বিষয়টি যে উঠবেই, তা আগে থেকেই আঁচ করছিলেন কূটনৈতিক শিবির। এ বার মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের পর সেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হল। পাশাপাশি বৈঠকের আগেই ভারতের উপর স্নায়ুর চাপ বাড়াতেই ট্রাম্পের এই কৌশলী টুইট বলেও মনে করছেন কূটনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy