পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
কাশ্মীর প্রসঙ্গ ও আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়া-সহ নানা বিষয় নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের।
পাক প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে আজ এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, টেলিফোনে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা হয় ইমরানের। কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ট্রাম্পকে তথ্য দিয়েছেন ইমরান। ট্রাম্প যে ওই বিষয়ে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তার প্রশংসা করে ইমরান বুঝিয়েছেন, কাশ্মীর নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সক্রিয় থাকা উচিত। ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব নিয়ে ভারত অবশ্য প্রথম থেকেই বুঝিয়ে এসেছে, কাশ্মীর নিয়ে কারও মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই।
আফগানিস্তান নিয়েও কথা বলেছেন দুই রাষ্ট্রনেতা। আফগানিস্তানে পশ্চিমের পণবন্দি নাগরিকদের মুক্তি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ এবং ওই পণবন্দিরা সুস্থ ও নিরাপদে আছেন জেনে খুশি পাকিস্তান— আমেরিকাকে এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘‘ওই ইতিবাচক পদক্ষেপে সাহায্য করায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।’’ গত মঙ্গলবার দক্ষিণ আফগানিস্তান থেকে দুই পশ্চিমী পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে তালিবান। মার্কিন বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁদের। তিন বছর আগে কাবুল থেকে অপহরণ করা হয় তাঁদের।
পাক পিএমও-র বক্তব্য, আফগান শান্তিপ্রক্রিয়ার অগ্রগতির জন্য পাকিস্তান যে সদাসক্রিয়, ইমরান তা বুঝিয়েছেন ট্রাম্পকে। শান্তিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল আফগানিস্তান গড়তে দুই নেতাই একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
এই সূত্রে মার্কিন বিদেশ দফতরের আফগানিস্তানের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ন্যান্সি ইজ়ো জ্যাকসন গত কাল আবার উল্লেখ করেছেন ভারতের সদর্থক ভূমিকার কথা। ন্যান্সির কথায়, ‘‘আফগানিস্তানে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ ও সহযোগিতা আমেরিকার তরফে সব সময়েই স্বাগত।’’ ট্রাম্প প্রশাসন আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নিতে চাইলেও সে দেশে ভারতের উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। ২০০১ থেকে ভারত আফগানিস্তানে ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy