বিক্ষোভের জেরে ২৪ ঘণ্টায় ৩১০টি বিমান বাতিল হওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত। ছবি: এএফপি
সম্পূর্ণ স্তব্ধ হংকং এয়ারপোর্টের বিমান পরিষেবা। বাড়তে থাকা বিক্ষোভের আঁচে হংকং বিমানবন্দরে পৌঁছতে মঙ্গলবার সমস্ত উড়ান বাতিল করে দিতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ।
এদিন হংকং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানান, যাত্রীসাধারণ যেন এয়ারপোর্ট চত্বর ছেড়ে দেন। অনির্দিষ্ট কালের জন্যে বন্ধ থাকছে বিমানবন্দর। চেক ইন প্রক্রিয়া হয়ে যাওয়া বিমানগুলি ও হংকংমুখী বিমান ছাড়া বাকি সব বিমান বাতিল করা হচ্ছে। বিক্ষোভের জেরে ২৪ ঘণ্টায় ৩১০টি বিমান বাতিল হওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু কেন এই বিশৃঙ্খলা?
আরও পড়ুন: নিজেকে খেয়ে ফেলছে সাপ, ভাইরাল ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: ‘আপনারা চোর’, দেশের মানুষের হাতেই হেনস্থার শিকার পাকিস্তানি মহিলা কূটনীতিক
চিনা ভূ-খণ্ডে থাকা বন্দি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত সরকারের নয়া আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে হংকং-এর বিপুল জনতা। প্রস্তাবিত আইনটিতে বলা হয়েছে, চিনে কোনও অপরাধ করে হংকং-এ পালিয়ে আসা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে চিনে বিচারের জন্যে পাঠানো হতে পারে। এই আইনটি সামনে আসার পরেই গত ১০ সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় নানা স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। জনতা-পুলিশ প্রকাশ্য সংঘর্ষও বেধেছে রাজপথে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, রাজনৈতিক বিরোধীদের এই আইনের অছিলাতেই গ্রেফতার করতে পারে চিন। এই অবস্থায় স্বাধীন বিচারব্যবস্থার আওতাধীন হংকং-এর জনগণ চিনা আদালতে বিচারে অংশ নিতে চায় না। এদিন বিক্ষোভকারীদের চাপে গোটা বিমানবন্দর এলাকাই স্তব্ধ হয়ে যায়। কালো টি-শার্ট পরা প্রতিবাদী যুবকেরা দখল নেয় গোটা এলাকার। চিনপন্থী হংকং প্রশাসন ও পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠতে থাকে ঘন ঘন।
গত কয়েক দিনে বারবার চেষ্টা করেও উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে হংকং প্রশাসন। জনতার উদ্দেশ্যে জলকামান ছোড়া নিয়ে সমালোচনাও শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। উল্টো দিকে প্রশাসনের দাবি,আন্দোলনকারীরা শান্তির রাস্তায় হাঁটছেন না, ঘন ঘন অস্ত্র তুলে নিচ্ছেন হাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy