সাহায্যের হাত: ইজ়রায়েলি সেনার ছোড়া কাঁদানে গ্যাসে ঘায়েল সাংবাদিকের চোখ ধুয়ে দিচ্ছেন প্যালেস্তাইনি মহিলা। মঙ্গলবার গাজ়ায়। ছবি: এএফপি।
চার বছর আগেকার পরিস্থিতি যেন গাজ়ায়। সোমবার জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধন ঘিরে বিক্ষোভ চরম মাত্রা নিয়েছে। নিহতের সংখ্যা ৬০ ছুঁয়েছে বলে প্যালেস্তাইনের দাবি।
মঙ্গলবার ছিল নাকবা। ইজ়রায়েল প্রতিষ্ঠার পরপরই ১৯৪৮ সালের যুদ্ধ চলাকালীন ১৫ মে দিনটিতে সাত লক্ষেরও বেশি প্যালেস্তাইনিকে বহিষ্কার করা হয়। এই দিনটিকে প্যালেস্তাইনিরা ‘নাকবা’ বা ‘বিপর্যয়’ হিসেবে দেখেন। এ দিন অশান্তি ব্যাপক আকার নেবে, আশঙ্কা ছিলই।
সারা দিনে কিছু কিছু বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর মিলেছে। গাজ়া সীমান্তে প্রাণ হারিয়েছেন এক প্রৌঢ়, নাসির ঘোরাব। তবে মঙ্গলবার ছিল অন্ত্যেষ্টিরও দিন। গতকাল ইজ়রায়েলি সেনার হামলায় নিহতদের কবর দেওয়া হয় আজই। হামলা বাড়ার আশঙ্কা থাকলেও প্যালেস্তাইনি গোষ্ঠীগুলি জানায়, আপাতত প্রতিবাদ বন্ধ রাখছে তারা।
প্যালেস্তাইনিদের দাবি, ২৭০০ জন আহত হয়েছেন সোমবারের সংঘর্ষে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার দফতর ইজ়রায়েলের কড়া সমালোচনা করেছে। দফতরের মুখপাত্র রুপার্ট কোলভিল জেনিভায় বলেছেন, ‘‘কেউ সীমান্তের দিকে এগিয়ে আসছে বলে তাদের গুলি করে মারতে হবে?’’ বিশ্ব জুড়ে সমালোচনার মুখে ইজ়রায়েলকে আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন আদালতে তোলা হবে বলেও গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
গাজ়ার মূল হাসপাতাল শিফায় দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না। গুলিতে আহতদের চিকিৎসা তো চলছেই। বহু মানুষ এসেছেন রক্ত দিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy