জমে যাওয়া অবস্থায় ফ্লাফি। ছবি: ফেসবুক।
মালিকের পোষা বিড়াল। নাম ফ্লাফি। বাড়ির মধ্যে যথেষ্ট আদরেই থাকে সে। কিন্তু সবসময় কি আর ভাল লাগে বাড়ির ভিতরে? তাই একটু ঘোরাফেরা করতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে ছিল সে। আর বেরিয়েই বিপত্তি। প্রবল ঠান্ডায় জমে বরফ হয়ে গেল মুহূর্তে! ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানার।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই প্রবল শৈত্যপ্রবাহে জড়োসড়ো মধ্য আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশ। পুরু বরফের আস্তরণে ঢেকে গিয়েছে রাস্তাঘাট। এরমধ্যেই ভেজা চুল নিমেষে বরফ হয়ে যাওয়া বা কমোডের মধ্যে বরফের চাঁই হয়ে যাওয়ার ছবি বা ভিডিয়ো এসেছিল সামনে। তার সঙ্গেই যোগ হল এই মার্জার কাহিনি। গত ৩১ জানুয়ারি মন্টানার গ্লেসিয়ার ন্যাশনাল পার্কের কাছে কালিস্পেল অঞ্চলে তাপমাত্রা নেমে যায় শূন্যের নীচে। সেই সময়েই ফ্লাফি বাইরে বেড়িয়ে পড়েছিল। প্রবল ঠান্ডায় জমে গিয়ে শরীরের লোম বরফ হয়ে যায় ফ্লাফির। বেশ কিছু ক্ষণ তার দেখা না পেয়ে খোঁজ শুরু করে বাড়ির কাছে সেটিকে বরফ হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন তার মালিক। সঙ্গে সঙ্গে ফ্লাফিকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় পশু চিকিৎসকের কাছে।
সেই পশু চিকিৎসা ক্লিনিকের চিকিৎসক ও এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর আন্দ্রেয়া দাট্টার বলেছেন যে, বিড়ালের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকা উচিত ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট। কিন্তু ফ্লাফির শরীরের তাপমাত্রা হয়ে গিয়েছিল ৯০ ডিগ্রি। তখন নানা উপায়ে সেটিকে উষ্ণতা দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনবার কাজ শুরু হয়। প্রবল ঠান্ডায় জমে গিয়ে চলাফেরার সাময়িক ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে বাড়ি ফিরতে না পেরে পথেই পড়ে ছিল সেটি। আর সেখানেই আরও পরিস্থিতি খারাপ হয় ফ্লাফির। অবশ্য সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই সুস্থ অবস্থায় ফিরে এসেছে ফ্লাফি। ফ্লাফিকে প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়া সেই চিকিৎসক এখন রীতিমতো নায়কের সম্মান পাচ্ছেন নেটদুনিয়ায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy