ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি ভবন-সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবনে হামলা। ছবি: রয়টার্স।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি ভবন-সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবনে হামলা চালালেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধানের সমর্থকেরা। রবিবার তাঁরা একত্রিত হয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন আক্রমণ করেন। ঘিরে ফেলা হয় ব্রাজিলের কংগ্রেস এবং সুপ্রিম কোর্টও।
ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর সমর্থকদের এই হামলা ফিরিয়ে দিয়েছে দু’বছর আগের আমেরিকার স্মৃতি। আমেরিকার ক্যাপিটলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি এ ভাবেই হামলা চালিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরা।
গত বছর কট্টর দক্ষিণপন্থী বোলসোনারোকে হারিয়ে ব্রাজিলে ক্ষমতায় আসেন বামপন্থী লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা। দেশের সাংগঠনিক কাঠামোয় এই আক্রমণের জন্য তিনি পূর্বতন প্রেসিডেন্টকেই দায়ী করেছেন। রাজধানী ব্রাসিলিয়ার নিরাপত্তা বিষয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন লুলা।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি ভাবন, সুপ্রিম কোর্ট এবং কংগ্রেসে হামলার নেপথ্যে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, রবিবার ব্রাসিলিয়ায় যখন এই হামলা হয়, প্রেসিডেন্ট লুলা সেখানে ছিলেন না। রাজধানী থেকে দূরে কর্মসূত্রেই সাও পাওলো গিয়েছিলেন তিনি।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ব্রাজিলের হলুদ, সবুজ পতাকা নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে এগোচ্ছেন। কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে তাঁরা ঢুকে যাচ্ছেন ভবনের ভিতর। কাতারে কাতারে মানুষ জড়ো হয়েছেন রাষ্ট্রপতি ভবনের ছাদে।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বোলোসোনারো এখনও পর্যন্ত নিজের হার স্বীকার করেননি। বরং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আয়োজিত নির্বাচনে পরাজয়কে তিনি ভোট গণনায় কারচুপি হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। অক্টোবরে পরাজয়ের পরেই দেশ ছেড়েছেন বোলসোনারো। তিনি বর্তমানে ফ্লোরিডায় থাকেন, যেখানে রয়েছেন ট্রাম্পও। অক্টোবরে ভোটের পর থেকেই বোলসোনারোর সমর্থক এবং অনুগামীরা দেশের নানা প্রান্তে তাণ্ডব চালাচ্ছেন। রবিবার তা চরম আকার ধারণ করল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy