সেই কৃষ্ণাঙ্গ। ফ্লোরিডায়।
মাটিতে শুয়ে মানুষটা চেঁচিয়ে যাচ্ছেন। আর হাত দু’টোকে আকাশের দিকে তুলে বলে যাচ্ছেন, ‘‘এই দেখো, আমার হাতে কোনও অস্ত্র নেই। আমার দু’টো হাতই খালি। আমার পাশে যে লোকটা বসেছিল, তার হাতেও কোনও অস্ত্র ছিল না। আমাকে ছেড়ে দাও। আমাকে মেরো না।’’ ফ্লোরিডার নর্থ-ইস্ট ফোর্থ অ্যাভিনিউ রাস্তায়।
কিন্তু তাতে কারও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। রাস্তা দিয়ে হুশ্ হুশ্ করে বেরিয়ে যাচ্ছে একের পর এক গাড়ি। ওই কৃষ্ণাঙ্গের থেকে একটু দূরে টেলিফোনের খুঁটির পিছনে দাঁড়িয়ে দুই শ্বেতাঙ্গ মার্কিন পুলিশ অফিসার তাঁর দিকে বন্দুক তাক করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, ভ্রুক্ষেপহীন। আর নিজেদের মধ্যে মুখ চাওয়াচায়ি করে ইঙ্গিতে কথা বলে চলেছেন। তারই মধ্যে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টায় ওই কৃষ্ণাঙ্গটি কাতর স্বরে বলে চলেছেন, ‘‘ওই লোকটার হাতে একটা খেলনা ছিল। একটা খেলনা ট্রাক। বন্দুক রেখে আমাদের লাভটা কী? কেনই-বা বন্দুক রাখতে যাব আমাদের সঙ্গে?’’
এর পরেই গুড়ুম, গুড়ুম, গুড়ুম! গুলির তিন-তিনটে শব্দ। তার মধ্যে একটা গুলি গিয়ে লাগে ওই কৃষ্ণাঙ্গ চার্লস কিন্সের পায়ে। যন্ত্রণায় কাতরে ওঠেন তিনি। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে কিন্সেকে। গত সোমবারের ঘটনা।
কৃষ্ণাঙ্গটিকে দেখে ‘জঙ্গি’ বলে সন্দেহ হয়েছিল মার্কিন পুলিশের। কিন্তু পরে খবর নিয়ে ফ্লোরিডা পুলিশ জানতে পেরেছে, কিন্সে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। আর তার পাশে বসা লোকটি আসলে এক জন অটিস্টিক রোগী।
নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষকে গুলি করার ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- তুরস্কে মজুত পরমাণু অস্ত্র কি বেহাত হতে পারে? শঙ্কায় আমেরিকা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy