সুজ়ান সামরাল ওয়াইলস (সুজ়ি)। ছবি: সংগৃহীত।
নাটকীয়তা পছন্দ করেন না। প্রচারের আলোয় নয়, পছন্দ করেন অন্তরালে থেকেই কাজ করতে। অত্যন্ত সংযমী, মিতবাক। এককথায় বললে, ‘অ-ট্রাম্পসুলভ’।
এমনই এক জনকে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ বেছে নিলেন আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার প্রথম মহিলা চিফ অব স্টাফ হতে চলেছেন ৬৭ বছরের সুজ়ান ওয়াইলস।
প্রচারে বার বার তাঁর কথা উঠে এসেছে আমেরিকার প্রাক্তন ও ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথায়। বুধবার রাতে নির্বাচনে জয়ের আভাস পাওয়ার পরেই ফ্লরিডার মঞ্চ থেকে ট্রাম্প তাঁর ক্যাম্পেন ম্যানেজার সুজ়ির কথা তুলে ধরেছিলেন। বলেন, “আমেরিকার ইতিহাসে সর্বোত্তম রাজনৈতিক জয় অর্জনে সুজ়ি আমাকে সাহায্য করেছেন।” সুজ়ির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প বলেছেন, “উনি শক্তিশালী, স্মার্ট, উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন এবং সর্বগ্রাহ্য ও সম্মানীয়।” ভাবী ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্সও সুজ়িকে ‘সম্পদ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর কথায়, “সুজ়ি হোয়াইট হাউসের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হয়ে উঠবেন। উনি মানুষ হিসেবেও অসাধারণ।” শোনা যায় সুজ়িই ট্রাম্পকে বলেছিলেন, ভান্সকে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী করতে।
নেপথ্যে থেকে কৌশল তৈরিতে স্বচ্ছন্দ সুজ়ি। যা ট্রাম্পের পছন্দ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথাতেও বার বার উঠে এসেছে তাঁর কথা। পর্দার আড়ালে থেকেই এই মহা-লড়াইয়ের কৌশল তৈরি করেছেন সুজ়ি। ট্রাম্পের উস্কানিমূলক বক্তৃতার জেরে ক্যাপিটল হিলে তাঁর সমর্থকেরা তাণ্ডব চালানোর পরে রিপাবলিকান দলের অন্দরেই ট্রাম্পের জোরদার বিরোধী শিবির তৈরি হয়েছিল। সেই ছবিটা পাল্টে রিপাবলিকান দলের অন্দরে ট্রাম্পের সমর্থন জোগাড় করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন সুজ়ি। তার পরে, ট্রাম্প যখন মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে জেরবার হচ্ছেন, তখন আদালত থেকেই ভোটের ময়দানে লড়াইয়ের কৌশল তৈরি করতেন তিনি। কমলা হ্যারিসের মোকাবিলা কী ভাবে করে হবে, কোথা থেকে তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করা হবে— যাবতীয় পরিকল্পনার কেন্দ্রে ছিলেন তিনিই।
ট্রাম্পের জয়ে ইতিহাসের সাক্ষী থাকলেন, ইতিহাস গড়লেনও সুজ়ান ‘সুজ়ি’ ওয়াইলস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy