ভর্তুকির গম কিনতে সরকারি দোকানে ভিড়। হাতাহাতি। ছবি: পিটিআই।
ঘরে ছয় সন্তান অভুক্ত। তাদের জন্য সরকারি দোকানে ভর্তুকি দেওয়া আটা কিনতে গিয়েছিলেন বাবা। রটে যায়, আটার বস্তা শেষ। সেই নিয়েই গন্ডগোল। তার জেরে পদপিষ্ট হয়ে মারা গেলেন এক ব্যক্তি। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মিরপুর খাসের ঘটনা। আর্থিক মন্দায় জর্জরিত পাকিস্তানে অবশ্য এটা আর ব্যতিক্রমী ঘটনা নয়। প্রায় দিনই ঘটছে এমন।
পাকিস্তানে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। এ বার সে দেশে গমের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বাজারে হাজার হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে আটার বস্তা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আটার কল এবং পাকিস্তানের খাদ্য দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের কারণেই সঙ্কট তৈরি হয়েছে। তা ছাড়া পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশ থেকে গমের জোগানও কমেছে। সে কারণে সরকারি দোকান থেকে ভর্তুকি দেওয়া গমের বস্তা কেনার জন্য লাইন দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আর সেখানে গন্ডগোলের জেরে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন মিরপুর খাসের বাসিন্দা এক ব্যক্তি।
তবে শুধু মিরপুর খাস নয়, গোটা পাকিস্তানে এখন একই ছবি। লাহোরে ১৫ কেজি আটার ব্যাগ বিকোচ্ছে ২,০৫০ টাকায়। গত দু’সপ্তাহে ১৫ কেজি আটার দাম ৩০০ টাকা বেড়েছে এই শহরে। একটি পাক দৈনিক জানিয়েছে, এই প্রথম সে দেশে ২০ কেজি আটার বস্তার দাম হয়েছে ৩,০০০ টাকা। করাচিতেও এক কেজি আটার দাম ১৫০ টাকা। গত কয়েক সপ্তাহে সেখানে ২০ কেজি আটার বস্তার দাম বেড়েছে ৪০০ টাকা। হায়দরাবাদে ২০ কেজি আটার বস্তার দাম ২,৮৮০ টাকা, পেশোয়ারে ২,৬৫০ টাকা।
পঞ্জাব প্রদেশের লাহোর, ইসলামাবাদে সরকারি দোকানে ভর্তুকি দিয়ে এক বস্তা আটার দাম ১,২৯৫ টাকা। খাইবার পাখতুনখোয়ায় খোলা বাজারে এক বস্তা আটার দাম ৩,১০০ টাকা। সেখানে সরকারি দোকানে এক বস্তা আটার দাম ১,২০০ টাকা। সেই আটা কিনতে গিয়েই হুড়োহুড়ি পড়ছে আকছার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy