ইমরান খান।—ছবি এএফপি।
মরিয়া চেষ্টা চালিয়েও সন্ত্রাস-বিরোধী আর্থিক নজরদারি সংস্থা এফএটিএফের ধূসর তালিকা থেকে মুক্তি পেল না পাকিস্তান। আগামী জুন মাস পর্যন্ত তারা ওই তালিকাতেই থাকবে বলে আজ জানিয়ে দিল এফএটিএফ।
সেই সঙ্গে ইসলামাবাদকে তারা এই বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে যে, লস্কর-ই-তইবা অথবা জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলিকে আর্থিক সাহায্য পুরোপুরি বন্ধ না-করলে কালো তালিকায় নেমে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে পাকিস্তানকে।
প্যারিসে এফএটিএফের ছ’দিনের বৈঠকের আজ ছিল শেষ দিন। এ দিনই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। সূত্রের খবর, ওই সংস্থার পক্ষ থেকে ইমরান সরকারকে জানানো হয়েছে, জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্য বন্ধ করার লক্ষ্যে যে ২৭টি পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছিল, তার কয়েকটি মাত্র করতে পেরেছে তারা।
পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য জোরালো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নয়াদিল্লি। আপাতত তা করা সম্ভব না হলেও, গোটা বিষয়টিকে কূটনৈতিক জয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে। হাতে জুন পর্যন্ত সময়। এর মধ্যে আরও তথ্য ও নথি-প্রমাণ জোগাড় করে, সেগুলির জোরে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য ফের ঝাঁপাবে ভারত।
বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই চালাচ্ছে বেজিং। কিন্তু হঠাৎই দু’দিন আগেই সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেয় চিন। এতে কূটনীতির জগতে বিতর্ক শুরু হয় যে, তবে কি দীর্ঘদিনের অবস্থান বদলে ফেলে এ বার ভারতের পাশে দাঁড়াচ্ছে চিন! আচমকা ওই সুর বদল যে যে নেহাতই সাময়িক বা কূটনীতির চাল— চিনের মুখপাত্র আজ তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর মন্তব্যের মাধ্যমে।
আজ চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেছেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ জোগানো বন্ধ করতে পাকিস্তান প্রবল ভাবে চেষ্টা করে চলেছে। এফএটিএফ সদস্য দেশগুলির অধিকাংশই এ ব্যাপারে সহমত হয়েছে। স্থির হয়েছে, এ ব্যাপারে নিজেদের পরিকল্পনা মতো এগোনোর জন্য পাকিস্তানকে আরও সময় দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy