শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
বছরের শুরুতে নারী নির্যাতন, জমি লুট-সহ নানা অভিযোগে তেতে উঠেছিল সন্দেশখালি। বছর শেষে আগামী ৩০ ডিসেম্বর সরকারি কর্মসূচিতে সেখানে যাবেন বলে বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরের দিনই সন্দেশখালিতে জনসংযোগ কর্মসূচিতে যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বিধাননগরে বিজেপির নতুন রাজ্য দফতরের বাইরে শুভেন্দু শুক্রবার বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন যান। আমি তার পরের দিন (৩১ ডিসেম্বর) জনসংযোগ কর্মসূচি করব। মুখ্যমন্ত্রীর মতো বড় আয়োজন হয়তো করতে পারব না। কিন্তু কঠিন সময়ে আমি সন্দেশখালির পাশে ছিলাম। এখনও সেই বার্তাই দিয়ে আসব।” তিনি এ-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে সন্দেশখালিতে তৃণমূল বড় ব্যবধানে জিতলেও গত লোকসভা নির্বাচনে ওই এলাকায় বিজেপি সাড়ে ৭ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছে। এই সূত্রেই মমতার সরকারি বিলি-বণ্টন কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে শুভেন্দুর দাবি, “মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে এক কোটি টাকা দিলেও জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবেন না!”
মমতার সন্দেশখালি-সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও। তিনি বলেছেন, “সন্দেশখালির মানুষের যখন সব চেয়ে বেশি মুখ্যমন্ত্রীকে প্রয়োজন ছিল, তখন যাননি। যখন অপরাধীদের শাস্তির দাবি ছিল, তখন তাঁকে খুঁজে পাওয়া গেল না। এখন অপরাধীদের পাশে দাঁড়াতে যাচ্ছেন!” সন্দেশখালির অশান্তি প্রসঙ্গে ফের বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে অবশ্য সরব হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, “শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, উন্নয়নের কাজ পুরো দমে চলছে। অন্যায় হয়ে থাকলে তীব্র নিন্দা করা হয়েছে, ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অতিরঞ্জিত যে হয়েছিল, সেটা তো ফাঁস হয়ে গিয়েছে!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy