পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধামন্ত্রী ইমরান খানের বিড়ম্বনা বাড়ল। ফাইল চিত্র।
বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার বেআইনি ভাবে বিক্রি করার অপরাধে পাক নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে পার্লামেন্টের সদস্যপদ হারিয়েছেন আগেই। এ বার পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তাঁরই গড়া দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর সভাপতি পদ থেকে সরানোর তোড়জোড় শুরু হল।
পাক নির্বাচন কমিশনের তরফে মঙ্গলবার ইমরানকে নোটিস পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে, তোষাখানা মামলায় (বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার বেআইনি ভাবে বিক্রি করা) দোষ প্রমাণিত হওয়ার পরেও কেন তাঁকে নথিভুক্ত একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানের পদ থেকে অপসারিত করা হবে না। এর আগে উপহার বিক্রির মামলায় নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেট অধিনায়ক। কিন্তু তাঁর সেই আবেদন গত অক্টোবরে খারিজ হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পানামা নথি কেলেঙ্কারির ঘটনার তদন্ত রিপোর্টে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন)-এর সভাপতি পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছিল সে দেশের নির্বাচন কমিশন। এর পরে পাক সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নওয়াজের সারা জীবনের মতো ভোটে লড়ার অধিকারটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়। এ বার কি ইমরানের রাজনৈতিক ভাগ্যও সেই পথে চলেছে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy