নির্বাচন-পর্বের গোড়া থেকেই আঁচ মিলেছিল। সোমবার গুজরাত বিধানসভার দ্বিতীয় তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণের পরে বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বুথ-ফেরত সমীক্ষা বলছে, গুজরাতে চমক কিছু নেই। অনায়াসেই নিজেদের গড় ধরে রাখছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। শুধু তা-ই নয়, ৩৭ বছরের প্রথা ভেঙে হিমাচল প্রদেশেও বিজেপি ক্ষমতা ধরে রাখতে চলেছে বলে বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস।
১৮২ আসনের গুজরাত বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য প্রয়োজন ৯২টি আসন। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি মতো পদ্ম-শিবির দেড়শোর বেশি আসন পাবে এমন ভবিষ্যদ্বাণী অধিকাংশ সমীক্ষাই করছে না। কিন্তু লড়াইটা তুল্যমূল্য, এমন ইঙ্গিতও নেই। বরং কংগ্রেস এবং অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি (আপ)-এর ভোট কাটাকাটির জেরে বিজেপি গুজরাতে সবচেয়ে ভাল ফল করতে পারে বলে বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত।
আরও পড়ুন:
এ বার দক্ষিণ গুজরাত, আমদাবাদ-গান্ধীনগর, উত্তর গুজরাত, কচ্ছের পাশাপাশি কংগ্রেসের ‘শক্ত ঘাঁটি’ সৌরাষ্ট্রেও বিজেপি বিপুল জয় পাবে বলে জনমত সমীক্ষাগুলির ইঙ্গিত। তবে শেষ পর্যন্ত আপকে পিছনে ফেলে কংগ্রেসই দ্বিতীয় স্থানে থাকবে বলে বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষা ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। যদিও ভোটে এ ধরনের বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল সব সময় যে মেলে, তা নয়। কিন্তু এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি থাকায়, এই ধরনের সমীক্ষাকে অস্বীকার করাও যায় না বলে ভোট পণ্ডিতদের একাংশ মনে করেন। আগামী বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) গণনার দিনেই আসল ফল জানা যাবে।
আরও পড়ুন:
এর আগে ২০০২ সালের দাঙ্গা-পরবর্তী বিধানসভা ভোটে বিজেপি ১২৭টি আসনে জিতেছিল। সেটাই এখনও পর্যন্ত মোদী-শাহের দলের সবচেয়ে ভাল ফল। অন্য দিকে, ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে গুজরাতে ৯৯টি আসনে জিতে টানা পঞ্চম বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। কিন্তু ১৯৯০ সালের পর সেটাই ছিল বিজেপির সবচেয়ে কম আসনপ্রাপ্তি। অন্য দিকে, ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে ৭৭টি আসনে জিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেককেই চমকে দিয়েছিল কংগ্রেস। নির্দল এবং অন্যেরা সে বার পেয়েছিল ৬টি আসন।