গুটিকয় বাঙালিদের উদ্যোগে একটা জলজ্যান্ত বারোয়ারি দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হবে! ফাইল চিত্র।
আমেরিকার একদম উত্তর দিকের যে প্রদেশে আমার বাস, সেই নর্থ ডাকোটায় উত্তর মেরু থেকে ঠান্ডা হাওয়া সোজা শনশনিয়ে চলে আসে। আবহাওয়ার কারণেই এখানে খুব বেশি বাঙালির বাস নেই।
এখানে যখন প্রথম আসি, তখনই জানতে পারি, ত্রিসীমানায় কোনও দুর্গাপুজো হয় না। পুজো দেখার ইচ্ছে হলে হয় অনেক দূর রাজ্যে বা একেবারে সীমান্ত পেরিয়ে কানাডায় যেতে হত। সাজগোজ করে বর্ডারে অফিসারদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা গত বছরেও হয়েছে। তখনও ভাবিনি, এ বার আর সীমান্ত পেরোতে হবে না, এখানকার গুটিকয় বাঙালিদের উদ্যোগে একটা জলজ্যান্ত বারোয়ারি দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হবে!
ফার্গো ও গ্র্যান্ড ফর্ক্স নিবাসী দুই বাংলার কিছু বাঙালির মিলিত প্রচেষ্টায় নর্থ ডাকোটা পেতে চলেছে তার প্রথম সর্বজনীন দুর্গোৎসব। পুজো হবে ফার্গো শহরে। প্রথম বছর, তাই আপাতত সপ্তমী থেকে দশমী সব কিছুই এক দিনে সেরে ফেলা হবে। তবে তাতে উৎসাহ উদ্দীপনায় কিছু ভাটা পড়ার প্রশ্ন নেই। সেই জুন মাস থেকে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কলকাতা থেকে জিনিস আনানো, জ়ুম মিটিংয়ে খাবার বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে জল্পনা কল্পনা করা -সব মিলিয়ে সাজো সাজো রব!
এ বার নাকি দেবীর গজে আগমন, নৌকায় গমন। কিন্তু আমাদের ফার্গোয় দেবী এসে পৌঁছেছেন কুরিয়্যরের ট্রাকে। জোর কদমে চলছে আলপনা আর হলসজ্জার প্রস্তুতি। এ বার যে-হেতু অক্টোবরের শুরুতে পুজো, তাই সকলের মনে আশা যে শরতের রেশ থাকবে। আর যদি বরফ পড়ে? তা হলেও শাড়ি-পাঞ্জাবির সঙ্গে ভারী কোট আর বুট পরে আমরা তৈরি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy