(বাঁ দিকে) বাশার আল আসাদ এবং আসমা আল আসাদ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
সিরিয়া থেকে পলাতক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে নাকি বিচ্ছেদ দিয়ে লন্ডনে ফিরতে চান তাঁর স্ত্রী আসমা আসাদ! সোমবার এমনই খবরে শোরগোল পড়ে। বেশ কয়েকটি আরবীয় এবং তুরস্ক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, মস্কোর জীবনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন আসমা। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসে মস্কো। এ প্রসঙ্গে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ জানান, এমন খবরের সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই! অর্থাৎ প্রকারান্তরে খবরকে ‘ভুয়ো’ বলেই দাবি করল মস্কো।
সোমবার বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, ৪৯ বছর বয়সি আসমা রাশিয়ার এক আদালতে বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন। একই সঙ্গে মস্কো ছাড়ার অনুমতির জন্যও আবেদন করেছেন তিনি। কারণ তিনি মস্কোতে থাকতে চাইছেন না। ফিরে যেতে চান জন্মভূমি লন্ডনে। শুধু তা-ই নয়, আরও খবর ছড়ায়, বাশারকে নাকি মস্কোতে সীমাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এমনকি তাঁর সম্পত্তিও ‘ফ্রিজ়’ করা হয়েছে। যদিও এই জল্পনার কোনও সত্যতা নেই বলেই দাবি করল ক্রেমলিন।
সিরিয়ায় দীর্ঘ দিন শাসন করেছে আসাদ পরিবার। বাশারের বাবা হাফিজ় আল আসাদ টানা ৩০ বছর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বাশার এবং তাঁর বাবা হাফিজ় আল আসাদ, দু’জনে মিলে ৫০ বছরের বেশি সময় সিরিয়া শাসন করেছেন। ২০০০ সালে হাফিজ়ের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন তিনি। টানা ২৪ বছর শাসন করার পর গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ায় তাঁর সাম্রাজ্যের পতন হয়। সে দিন দামাস্কাস ছেড়ে পরিবার নিয়ে রাশিয়া চলে যান বাশার। বর্তমানে মস্কোর আশ্রয়ে রয়েছেন তিনি। বাশার সিরিয়া ছাড়তেই তার দখল নেন বিদ্রোহীরা।
রাশিয়া থেকে বাশার দাবি করেন, ‘‘সিরিয়া জুড়ে সন্ত্রাস ছড়াতে ছড়াতে ৭ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় দামাস্কাসে পৌঁছেছিল, যা প্রেসিডেন্টের ভাগ্য এবং অবস্থান সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল।’’ বাশার জানিয়েছেন, বিদ্রোহীরা ৮ ডিসেম্বর রাজধানী দিকে অগ্রসর হতেই তিনি দামাস্কাস ত্যাগ করেন। সিরিয়ার রুশ নিয়ন্ত্রিত খেমিমিম বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলার পর তাঁকে রাশিয়ায় সরিয়ে আনা হয়। তবে দামাস্কাস থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরেও সিরিয়ার যুদ্ধ অভিযানের তদারক করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে হয় তাঁকে। সিরিয়ায় অস্থিরতার মধ্যেও দেশ ছেড়ে পালানোর ইচ্ছে তাঁর ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি। বাধ্য হয়েই সিরিয়া ছেড়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে মস্কোয়।
মস্কোয় বাশারের সঙ্গে রয়েছে তাঁর পরিবার। স্ত্রী আসমা বিয়ের পর সিরিয়াতে থাকলেও তাঁর জন্ম লন্ডনে। সিরিয়ায় বাশারের সাম্রাজ্যের পতন পর খবর ছড়ায় আসমা ব্রিটেনে ফিরে যেতে পারেন। তবে সে ব্যাপারে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর অফিস স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, কোনও ভাবেই আসমা লন্ডনে ফিরতে পারবেন না। কারণ তাঁর ব্রিটেন-যাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আসমার বিচ্ছেদের খবর ছড়াতে আবার সেই কথাই মনে করিয়ে দিয়েছে ব্রিটেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy