উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের সঙ্গে কথা বলতে কোনও আপত্তি নেই তাঁর, জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
দু’দিন আগেই দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে এক টেবিলে বসতে রাজি হয়েছে কিমের দেশ। ৯ জানুয়ারি দু’দেশের মধ্যবর্তী সামরিক ক্ষেত্রে, সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজমে বৈঠকে বসবেন দুই কোরিয়ার প্রতিনিধিরা। তখনই শোনা গিয়েছিল আশার কথা— এর পর হয়তো মুখোমুখি বসানো যাবে আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়াকেও। এরই মধ্যে শনিবার মেরিল্যান্ডে একটি অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘‘নিশ্চই কথা বলব। কিমের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে আমার কোনও অসুবিধা নেই।’’
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে দু’জনের চুলোচুলি লেগেই রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারবারই কিমকে ‘রকেট-ম্যান’ বলে আক্রমণ করে গিয়েছেন। কিম বলেছেন, ‘‘উনি তো পাগলাটে বুড়ো’’। জবাবে ফের ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘আমি কি ওঁকে বেঁটেমোটা বলেছি?’’ কিছু দিন আগে কিম বলেছিলেন, তাঁর পরমাণু অস্ত্র এত শক্তিশালী, পিয়ংইয়ংয়ে বসেই ওয়াশিংটনকে উড়িয়ে দিতে পারে। নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েই জবাব দিলেন ট্রাম্প। বললেন, ‘‘আমার টেবিলেও এমন পরমাণু বোমার বোতাম আছে। ওঁর থেকে অনেক বড়, আরও বেশি শক্তিশালী। আর সেটা কাজও করে!’’
আরও পড়ুন: হাফিজকে চাঁদা দিলে শাস্তি: পাক সরকার
পরের দিনই খবর আসে, কিম রাজি হয়েছেন। দুই কোরিয়া মুখোমুখি বসছেন। গোটা বিষয়টি কৃতিত্ব নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘আমরা উঠেপড়ে না লাগলে, দু’পক্ষকে কথা বলানো যেত না।’’ জানান, ক্রমাগত চাপ দেওয়ার ফলেই এটা বাস্তবায়িত হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘এই আলোচনার পরে হয়তো উদ্বেগ অনেকটাই কমবে।’’
এ দিনও কিমের সম্পর্কে মুখ খোলেন তিনি। তবে আক্রমণ নয়। কিঞ্চিত প্রশংসার সুরেই বলেন, ‘‘কিম জানেন, আমি কোনও ভুলভাল কাজ করছি না। এতটুকুও না, এক শতাংশও না। ও সবটাই বোঝে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy