বরফ গলিয়েছিলেন বারাক ওবামা। ৫৪ বছরের তিক্ততা ভুলে নিজেই ফোন করছিলেন কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রোকে। সময়টা ২০১৪-র ডিসেম্বর। ৪৫ মিনিটের ফোনালাপ শেষে সে বার দুই দেশই রাজি হয় নতুন করে সম্পর্ক স্থাপনে। ওবামা নিজে যান কিউবায়। সে দেশের উপর থেকে কিছু বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এত দিন দিব্যি চলছিল এ ভাবে। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প বেঁকে বসতেই মার্কিন-কিউবা সম্পর্ক ঘিরে ফের সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন কূটনীতিকরা।
হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, শুক্রবার আমেরিকার নয়া কিউবা নীতি নিয়ে মুখ খুলবেন ট্রাম্প। আর তা যে বেশ কঠোর হতে চলেছে, তেমন একটা ইঙ্গিত মিলেছে ট্রাম্পেরই বিদেশসচিব রেক্স টিলারসনের কথায়। কাল সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘ওবামার আমলে দু’দেশের সম্পর্কে যে উন্নতি হয়েছে, তা ধরে রাখতে গেলে কিউবাকে মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে আরও সতর্ক হতে হবে।’’
আর তা না হলে? সূত্রের খবর, ট্রাম্প ফের পুরনো পথেই হাঁটতে চাইছেন। ওবামা-রাউলের চুক্তির পরে কিউবার বেশ কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেছিল আমেরিকা। কাস্ত্রোর দেশে অবাধ যাতায়াতও শুরু করেছিলেন মার্কিন নাগরিকরা। মনে করা হচ্ছে, ট্রাম্প এ সবেও খড়্গহস্ত হতে পারেন।
এমন অনুমান অকারণে নয়। ওবামার কিউবা নীতি উল্টে দেবেন বলে আগেই হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। আর জেতার পর ফিদেল কাস্ত্রোকে বলেছিলেন ‘নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী’। কিউবার পাশাপাশি ভেনেজুয়েলার এক ঝাঁক আধিকারিকের উপরেও নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন টিলারসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy