ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পদ ছাড়লেও আমেরিকার গোপন নথি সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বার এই সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে মূল অভিযুক্ত করে তদন্ত শুরু করতে চলেছে জো বাইডেন প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত এই খবরের কোনও আনুষ্ঠানিক সমর্থন না মিললেও ট্রাম্প নিজে সমাজমাধ্যমে এই কথা জানিয়েছেন। ভুয়ো অভিযোগ আনার জন্য আক্রমণ করেছেন বাইডেন প্রশাসনকেও। প্রাক্তন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “দুর্নীতিগ্রস্ত বাইডেন প্রশাসন আমার আইনজীবীকে জানিয়েছে, আমি নাকি এই মামলায় অভিযুক্ত হতে চলেছি।” ট্রাম্প এ-ও লিখেছেন যে, মঙ্গলবার তাঁকে মায়ামির যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
যদিও আমেরিকার বিচার বিভাগের তরফে এই খবরের সত্যাসত্য সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি। কিন্তু আমেরিকার অধিকাংশ সংবাদমাধ্যমই জানিয়েছে, এই তথ্য ‘চুরি’র মামলায় ট্রাম্পকে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত করা হয়েছে। আমেরিকার ইতিহাসে এর আগে এই ধরনের অভিযোগে কোনও প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রাক্তন প্রেসিডেন্টই অভিযুক্ত হননি। সে ক্ষেত্রে ট্রাম্পই ‘ইতিহাস’ তৈরি করতে চলেছেন। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে লেখেন, “আমি কখনও ভাবিনি যে, দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এমন কিছু হওয়া সম্ভব।”
এই মামলা সম্পর্কে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের একাংশ জানিয়েছেন, ২০২০ সালে নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক নথি আমেরিকার মহাফেজখানা থেকে নিয়ে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। অভিযোগ, সেগুলো ট্রাম্প ফেরত দেননি। উল্টে এই নিয়ে তদন্ত শুরু হলে তদন্তপ্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ৭৭ বছর বয়সি ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হয়ে নামতে চলেছেন। এর আগে পর্নতারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলাতেও নাম জড়িয়েছিল ট্রাম্পের। এ বার আর এক আইনি বিড়ম্বনায় পড়লেন আমেরিকার ‘বিতর্কিত’ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy