করমণ্ডল এক্সপ্রেস। নিজস্ব চিত্র।
ভয়াবহ দুর্ঘটনার ৫ দিন পর আবার যাত্রা শুরু করেছে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। বুধবার দুপুর ৩টে ২৬ মিনিটে শালিমার স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ে। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ সেটি খড়্গপুরে পৌঁছয়। করমণ্ডল এক্সপ্রেস ঢুকতেই ট্রেনের সামনে ফুলের মালা পরিয়ে, নারকেল ফাটিয়ে যাত্রার শুভ কামনা করেন হকাররা। দুর্ঘটনার পর প্রথম বার আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রা নিয়ে খড়্গপুরে চিফ লোকো ইনস্পেক্টর অনুপ মান্না জানান, দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে তাঁরই থাকার কথা ছিল। কিন্তু রস্টার বদলে শতাব্দী এক্সপ্রেসে তাঁর ডিউটি পড়ে!
বুধবার দুপুর ৩টে ২০ মিনিটে শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ার কথা থাকলেও ৬ মিনিট দেরিতে ছাড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ট্রেনটি খড়্গপুরে ঢোকেও দেরিতে। খড়্গপুরে ট্রেনটির ঢোকার কথা ছিল বিকেল ৫টায়। কিন্তু ট্রেনটি খড়্গপুরে পৌঁছয় বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ। রেল সূত্রে খবর, চিফ লোকো ইনস্পেক্টর অনুপ, লোকো পাইলট এসসি দাস এবং সহ-লোকো পাইলট পি টাকুয়া খুরদা রোড স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনটি চালিয়ে নিয়ে যাবেন। গার্ড আরএন প্রধান বলেন, ‘‘যতই যা-ই ঘটুক, আমাদের তো ডিউটিটা করে যেতে হবে। আমাদের সকলকেই সেফটির (নিরাপত্তা) বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।’’ দুর্ঘটনা নিয়ে অবশ্য বিশেষ কিছু বলেননি তিনি। শুধু বলেছেন, ‘‘তদন্ত চলছে। শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু সম্ভব নয়।’’
ডাউন লাইনে করমণ্ডলের পরিষেবা অবশ্য চালু ছিল। রেল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালেই হাওড়ার শালিমার স্টেশনে পৌঁছেছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। রেল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট রেলপথে ছুটে গিয়েছে একাধিক ট্রেন। সোমবার গিয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তার পরে আপ লাইন দিয়ে চালানো হয়েছে ফলকনুমা এক্সপ্রেসও। সোমবারই ওই লাইন দিয়ে ৪০টির বেশি ট্রেন চলাচল করেছে। কিন্তু বালেশ্বরের কাছে ট্রেনের গতি ছিল কম। যে হেতু সদ্য রেলপথ মেরামত হয়েছে, তাই ওই জায়গা দিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেনগুলির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় মোটামুটি ১০ কিলোমিটার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy