ছবি: রয়টার্স।
কাশ্মীর অনেকেরই গলার কাঁটা। তাই মধ্যস্থতার দরকার হলে তিনি তা করতে রাজি বলে জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে যৌথ বিবৃতিতে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে কড়া পদক্ষেপ করতে বলল ভারত ও আমেরিকা। পাশাপাশি পাকিস্তান যে জঙ্গি দমনে ইতিবাচক ভূমিকা নিচ্ছে, তাও বলে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কূটনীতিকদের মতে, এ ভাবে গোটা দিনে ভারসাম্যের কূটনীতি বজায় রাখল ট্রাম্প প্রশাসন।
অতীতেও একাধিক বার কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। যদিও কাশ্মীর প্রশ্নে তৃতীয় কোনও পক্ষের ভূমিকা শুরু থেকেই মানতে রাজি নয় নয়াদিল্লি। কাশ্মীর প্রশ্নে ভারতের সেই স্পর্শকাতর অবস্থানের কথা মাথায় রেখে আজ সরাসরি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেওয়ার কথা না বলে সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প জানান, উভয় পক্ষ চাইলে তিনি মধ্যস্থতা করতে রাজি।
আজ সকালে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা, রাজঘাটে গাঁধী সমাধি ঘুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেন ট্রাম্প। দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল সীমান্ত সন্ত্রাস। বিকেলে ছিল ট্রাম্পের সাংবাদিক বৈঠক। পাকিস্তান যে ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্ত সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে ট্রাম্প কী ভাবছেন তা তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘দেখনদারিই’ দেখল বিদেশি সংবাদমাধ্যম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘‘আমার সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সুসম্পর্ক রয়েছে। তারা আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস থামাতে চেষ্টা করছে।’’ একইসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী ও ইমরান খানের সঙ্গে তাঁর ভাল সম্পর্ক থাকায় ট্রাম্প আজ ফের কাশ্মীর প্রসঙ্গে মধ্যস্থতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘আজ সন্ত্রাসবাদ নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা হয়েছে। দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক থাকায় কাশ্মীর প্রশ্নে মধ্যস্থতা করার দরকার হলে আমি রাজি। তবে পাকিস্তানও কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে সক্রিয় রয়েছে। সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করছে।’’ তবে কাশ্মীর সমস্যা এক মাত্র ভারত-পাকিস্তানের যৌথ উদ্যোগেই হওয়া সম্ভব বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর কথায়, ‘‘আট হাজার মাইল দূরে বসে বেশি কিছু করা সম্ভব নয়।’’ পরে ভারত-আমেরিকা যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘আল কায়দা, আইএস, জইশ ই মহম্মদ, লস্কর ই তইবা, হিজবুল মুজাহিদিন, দাউদ গোষ্ঠীর মতো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে পাকিস্তানকে। সেইসঙ্গে মুম্বই, পঠানকোটের মতো হামলার চক্রীদের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।’’
বিদেশ মন্ত্রকের কর্তাদের ব্যাখ্যা, আফগানিস্তান থেকে দ্রুত সেনা প্রত্যাহার করতে চলেছে আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে তাদের পাকিস্তানের সাহায্য প্রয়োজন। ফলে ওয়াশিংটনের পক্ষে ভারতকে খুশি করতে যে ইসলামাবাদকে চটানো সম্ভব নয় তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছে নয়াদিল্লি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy