ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় অধ্যায়কে ঘিরে মৈত্রীর বার্তা প্রচারেই ব্যস্ত সাউথ ব্লকের কর্তারা। কিন্তু কূটনৈতিক শিবির বলছে, আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যে আগামী দিনে কুসুমাস্তীর্ণ থাকবে না, দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কথোপকথনেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন খোদ ট্রাম্প। কার্যত ভারতের উপর শুল্ক চাপানোর জুজুকে তিনি তাঁর দেশ থেকে আরও বেশি অস্ত্র কেনার সঙ্গে সংযুক্ত করতে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের দীর্ঘদিনের অংশীদার রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে ভারসাম্য বজার রাখাটাও ভূকৌশলগত ভাবে চাপের বিষয় হয়ে উঠতে চলেছে।
সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ফোনালাপের পরে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ভারতকে তাঁর দেশ থেকে আরও বেশি করে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম (অস্ত্রশস্ত্র) কেনার কথা বলেছেন দিয়েছেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে আরও ‘ন্যায্য’ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উপরেও জোর দিয়েছেন। যদিও নির্দিষ্ট ভাবে এই দু’টি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে। সাউথ ব্লকের বিবৃতিতে শুধুমাত্র জানানো হয়েছে, প্রযুক্তি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শক্তি এবং প্রতিরক্ষার মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই শীর্ষ নেতার।
মোদীর সঙ্গে বাক্যালাপের পর ট্রাম্প ফ্লোরিডায় এক দলীয় আলোচনায় নেতাদের বলেছেন, “যে সব দেশ আমাদের সত্যিই ক্ষতি করতে চায়, সেই সব বাইরের দেশ এবং ব্যক্তির উপর আমরা শুল্ক চাপাব। আমাদের কাছে ক্ষতিকর, কিন্তু আসলে নিজেদের দেশের ভালই করতে চায় তারা। দেখুন না অন্যরা কী করছে! চিন বিপুল কর চাপিয়ে থাকে। ভারত, ব্রাজ়িল-সহ অন্য দেশও কিছু কম নয়। আমরা আর এটা হতে দিতে পারি না। আমরা আমেরিকাকেই অগ্রাধিকার দেব।”
অতীতেও এই বিষয়গুলি উত্থাপন করেছেন ট্রাম্প। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তিনি মাঝেমধ্যেই ভারতকে ‘শুল্কের রাজা’ হিসেবে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি গত দু'দশকে আমেরিকা থেকে প্রচুর প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনেছে ভারত। সম্প্রতি দু'দেশের মধ্যে তিনশো কোটি ডলারের প্রিডেটর ড্রোন কেনারও চুক্তি হয়েছে। কিন্তু তার পরও ভারতের প্রতিরক্ষা নীতি (প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম) নিয়ে আমেরিকার কিছুটা গোসা আছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত। রাশিয়া, ফ্রান্সের মতো দেশ থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনা এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র উপরে জোর দেওয়ার ব্যাপারটা হজম হচ্ছে না আমেরিকার। যা মোদী ও ট্রাম্পের কথার পর আজ হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতেও কিছুটা ফুটে উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy